ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফেনীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৮৭ হাজার পশু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
ফেনীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৮৭ হাজার পশু জেলার পরশুরাম উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে পশুরহাট থেকে তোলা। ছবি: ডালিম হাজারী

ফেনী: ঈদুল আজহায় ফেনীতে ৮৭ হাজার ৬২৮টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। গেল বছর পুরো জেলায় ৬৯ হাজার ৫শ’ পশু কোরবানি হয়েছিল। এ বছর আরও ১০ হাজার বাড়বে বলে ধারণা করছে ফেনী জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা. মো. আনিসুর রহমান বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জেলার কোরবানির পশুর চাহিদার তিনভাগের দুই ভাগেরও বেশি মেটাতে সক্ষম জেলার বিভিন্ন খামার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উৎপাদিত পশু। বাকি পশুগুলো বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারিরা কিনে এনে সরবরাহ করেন।

সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষের অবৈধ অনুপ্রবেশের ব্যাপারে তিনি জানান, ফেনী সীমান্ত দিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য হারে কোরবানির পশু ঢুকতে পারবে না।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা জানান, জেলার ৭ হাজার ৯৮০ জন খামারি ও ব্যক্তিগত পশুপালনকারীরা কোরবানি উপলক্ষে ৮৭ হাজার ৬২৮টি পশু হৃষ্টপুষ্ট করে কোরবানির হাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছেন। এরমধ্যে ষাঁড় রয়েছে ৪ হাজার ৩৬১টি, বলদ ৩৯ হাজার ৮২৬টি, গাভী ১০ হাজার ৯৯৪টি, ছাগল ১১ হাজার ৫ টি, ভেড়া হাজার ৪৮২টি ও মহিষ হাজার ৭৫৭টি।

তিনি আরও জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেকগুলো বাণিজ্যিক খামার গড়ে ওঠেছে। এসব খামার এবং ব্যক্তিগতভাবে ঘর-গৃহস্থে পালনকৃত পশু দিয়েই জেলার অধিকাংশ মানুষ কোরবানি করতে পারবেন। স্বল্প সংখ্যক পশু বাইরের জেলা থেকে আনলে হবে। তবে মৌসুমি ব্যাপারিরা যদি বাইরের জেলা অথবা পাশের দেশ থেকে বেশি পশু আমদানি করেন সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশি খামারি ও পশুর মালিকদের।

ফেনী জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ করতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়ে ওঠা খামারগুলো বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। খামারিরা যাতে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার না করতে পারেন সেজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। হাটগুলোতে নজদারিতে থাকছে মেডিকেল টিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এসএইচডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।