ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঘুষের টাকাসহ এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
ঘুষের টাকাসহ এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী গ্রেফতার ঘুষের টাকাসহ দুদক কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেফতার এলজিইডি কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) ৫০ হাজার ঘুষের টাকাসহ উপ-সহকারী প্রকৌশলী এহতেশাম উল হককে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে দুদক। 

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তাকে আটক করা হয়।
 
অভিযানকালে সোনারগাঁও উপজেলার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা পালিয়ে যান।

মুহূর্তের মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর ফাঁকা হয়ে যায়। প্রকৌশলী এহেতেশাম উল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফজলুল বারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
 
জানা যায়, মেসার্স মিরাজ অ্যান্ড মেহরাব এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁও উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে ঠিকাদারি করে আসছেন। সম্প্রতি কাচপুর হাইওয়ে থানা থেকে মোশারফ ওমর চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা আরসিসির মাধ্যমে উন্নয়ন কাজের জন্য ১০ লাখ টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে দরপত্রে কাজ পান।

এ কাজের জন্য বিল পেতে সোনারগাঁ উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিআরডি) অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এহতেশাম উল হক এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এর মধ্যে ঠিকাদার মোজ্জাম্মেল হক ৮০ হাজার টাকায় তার সঙ্গে ফাইল ছাড় দেওয়ার জন্য রফাদফা করেন। দাবি করা টাকার মধ্যে গত রমজানের ঈদের পর উপ-সহকারী প্রকৌশলী এহতেশাম উল হককে ৩০ হাজার টাকা দেন। পরে চূড়ান্ত বিল পাওয়ার জন্য মোজ্জাম্মেল হক সোনারগাঁও উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিআরডি) অফিসে গেলে বাকি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ৫০ হাজার টাকা না দিলে ফাইল ছাড় দেবে না বলে জানিয়ে দেন।
 
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠিকাদার মোজ্জাম্মেল হক ঘুষের ৫০ হাজার টাকা এহতেশাম উল হককে দেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুদকের ঢাকা বিভাগের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি দল ৫০ হাজার টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করে।
 
দুদক ঢাকা বিভাগের পরিচালক নাসিম আনোয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী এহতেশাম উল হককে ঘুষের ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তার প্যান্টের বাম পকেট থেকে ঘুষের টাকা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফজলুল বারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
 
মেসার্স মিরাজ অ্যান্ড মেহরাব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী মোজাম্মেল হক জানান, সোনারগাঁওয়ের কাচপুর এলাকায় ২০ লাখ টাকায় একটি সড়কের সংস্কার কাজের বিপরীতে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী এহেতেশাম উল হক।
 
সোনারগাঁও উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আলী হায়দার খাঁন বলেন, সোনারগাঁও উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এহতেশাম উল হককে গ্রেফতারের বিষয়টি শুনেছি। তবে আমি ঢাকায় মিটিংয়ে ছিলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।