বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় নগর ভবনে।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রকৌশলী আলী আকবরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় নগরীর নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে ২৭টি ওয়ার্ডে ৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়।
নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে লিফলেট ও বিভিন্নভাবে প্রচারণাও চালাবে সিসিক।
সিসিক সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি স্থান নির্ধারণ করা হয়। এবছর ৯টি স্থান বাড়ানো হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, যততত্র পশু কোরবানি দেওয়া হলে নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে দ্রুততার সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার সম্ভব হয়ে ওঠে না। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকারি নির্দেশনার আলোকে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন। আর এর প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছেন মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনরা।
এছাড়া সিসিকের প্রত্যেক ওয়াডের্র কাউন্সিলররা নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণার ব্যাপারে ভূমিকা রাখছেন।
সিসিকের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস জানান, ঈদের দিন সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির নির্দিষ্ট স্থানে শামিয়ানা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য থাকবে অভিজ্ঞ কসাই। যারা কোরবানি দেবেন, তারা শামিয়ানার নিচে বসে নিজেদের পশু জবাই ও জবাই পরবর্তী মাংস কাটার প্রক্রিয়া দেখতে পারবেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, কনজারভেন্সি কর্মকর্তা হানিফুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস ঈদুল আজহার দিন বিষয়টি সার্বিক তদারকি করবেন।
মতবিনিময় সভায় সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহেদুল ইসলাম সুমন, প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ ও নগরীর বিভিন্ন মসজিদের প্রায় দুই শতাধিক ইমাম ও মোয়াজ্জিন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এনইউ/এএ