সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ দফতর সূত্রে জানা যায়, কোরবানির ঈদকে ঘিরে ঘরমুখী যাত্রীদের ভ্রমণ নিরাপদ ও নিশ্চিত করার জন্য ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেওয়ের বড় বড় স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে তথ্যকেন্দ্র। বসেছে স্ক্যানিং মেশিন ও মেটাল ডিটেক্টর। এখন থেকে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি শুরু হয়েছে। আর যাত্রী সচেতনতা বাড়াতে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। স্টেশনে পোস্টার ও ব্যানার লাগনো হয়েছে। যাতে উল্লেখ রয়েছে যাত্রী সচেতনতামূলক বিভিন্ন নির্দেশনা।
ট্রেনে যাতে নাশকতা না হয়, এমনকি চোরাচালানি ঠেকাতে তৎপর থাকবে রেলওয়ে পুলিশ। যাত্রীরা যাতে কোনো ব্যক্তির কাছে খাবার গ্রহণ না করেন, ট্রেন লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া না হয়, এসব নিয়ে সচেতনতা করা হয়েছে ওই লিফলেটে।
এ নিয়ে তথ্য দিতে সৈয়দপুরে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে হটলাইন। এর নম্বর হচ্ছে- ০৫৫২৬-৭২১৪৭ এবং ০১৭৩৩৩৯০১৯২।
সূত্র আরও জানায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলার অধীনে রয়েছে ১২টি থানা। থানাগুলো হলো- সৈয়দপুর সদর, দিনাজপুর, পার্বতীপুর, লালমনিরহাট, বোনারপাড়া, শান্তাহার, ঈশ্বরদী, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, রাজবাড়ী, পোড়াদহ ও খুলনা।
এছাড়া আরও ১৬টি ফাঁড়ির মাধ্যমে প্রহরা বাড়ানো হয়েছে রেল স্থাপনাগুলোতে। ১৬ আগস্ট থেকে ঈদ পরবর্তী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৭ দিন চলবে এই সতর্কতা কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, 'ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে রেল পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে জেলা পুলিশেরও সহযোগিতা নেওয়া হবে। যেকোনো সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্ততিও রয়েছে।
পুলিশ পৌঁছে যাবে যাত্রীদের দোরগোড়ায়। নির্বিঘ্নেœ রেল চলাচলে প্রতিটি স্তর থেকে সহযোগিতা চান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
জিপি