বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, কমলাপুর স্টেশনের ৫ নম্বর কাউন্টার থেকে রিটার্ন টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
রেজাউল নামে এক টিকিট প্রত্যাশী বাংলানিউজকে বলেন, আমি সকালে স্টেশনে এসেছিলাম। তখন মাত্র চার জন ছিলেন। এরপর লোক বাড়তে থাকে। কিন্তু টিকিট বিক্রি শুরুর পর পরই আমাকে বলা হয় এসি টিকিট নেই। কাউন্টারে রেজাউলের প্রশ্ন ছিল কিভাবে এতো দ্রুত শেষ হলো? এর জবাবে তাকে বলা হয় শোভন চেয়ার আছে নিলে নিতে পারবেন।
টিটু নামে অপর এক টিকিট প্রত্যাশী রংপুর থেকে আসার টিকিট নিতে এসে এসি না পাওয়ার অভিযেগ করেন।
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, রিটার্ন টিকিট নিয়ে অভিযোগের কিছু নেই। এ টিকিট দেশের সব স্টেশন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু সব স্টেশন থেকে একযোগে দেওয়া হচ্ছে তাই সবাই এসি নিতে চাচ্ছেন, এতে কেউ পাচ্ছেন কেউ পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, আমাদের সব ট্রেনে এসি কেবিন সংখ্যা কম। শোভন চেয়ার বেশি। তাছাড়া টিকিট থাকলে কাউকে ফিরিয়ে দেওয়ার ইতিহাস নেই।
যেহেতু অনলাইনে টিকিট, তাই স্কিনের মাধ্যমে টিকিট প্রত্যাশীরা সব দেখতে পান। আমরা একটি টিকিট থাকা পযন্ত বিক্রি করি, এটা সব স্টেশনের ক্ষেত্রে। তাছাড়া কালো বাজারে যেকোনো টিকিট বিক্রি বন্ধ করতে পুলিশ, র্যাব, রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার সদস্য ও গোয়েন্দা সদস্যরা সব সময় নিয়োজিত আছেন।
অন্যদিকে, শুক্রবার থেকে প্রতিদিন ট্রেনে করে প্রায় এক লাখ মানুষ ঘরে ফিরবেন বলে আশা করছেন সিতাংশু। একইসঙ্গে তিনি সব যাত্রীকে ট্রেনের ছাদ বা বাফারে না ওঠার অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
ইএআর/টিএ