বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল অনুষদ ভবনের সেমিনার কক্ষে ‘প্রাণী মোটাতাজাকরণ; অসাধুপন্থা অবলম্বন ও প্রতিকার’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রানী বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল হালিম বলেন, গত বছর এক কোটি চার লাখ গবাদি প্রাণী কোরবানি করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনতার ফলে খামারিরা গরু মোটাতাজা করতে এখন মাত্রারিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করে না। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এখনও গরু মোটাতাজা করতে মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করছেন। সেক্ষেত্রে ক্রেতাকে গরু কেনার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
অসুস্থ গরু চেনার সহজ উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েড প্রয়োগ করা গরুর পেছনের দিকে উরুর পেশীবহুল মাংসতে চাপ দিলে মাংস দেবে যাবে। কারণ বাইরে থেকে মাংস মনে হলেও সেখানে মাংসের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এছাড়া অসুস্থ গরু ঠিকমতো চলাফেরা করতে এবং খাবার খেতে পারে না।
ভেটিরিনারি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া গবাদি প্রাণীর ওষুধ বিক্রি বন্ধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রাণী গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. বিপ্লব কুমার দাস, অধ্যাপক ডা. কেভিএম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
আরআর