ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদে খুলনায় ৩৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার নতুন নোট

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
ঈদে খুলনায় ৩৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার নতুন নোট নতুন টাকা/ফাইল ফটো

খুলনা: ঈদ উৎসবে নতুন নোটের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয় প্রতিবছর। এ চাহিদা মেটাতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে নতুন নোট বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খুলনায় এবার বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি-বেসরকারি ৪৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার নতুন নোট গ্রাহকদের সরবরাহ করছে। 

এর মধ্যে রয়েছে ১০ টাকার ২ কোটি, ২০ টাকার ৫ কোটি, ৫০ টাকার ১০ কোটি, ১০০ টাকার ৫০ কোটি, ৫০০ টাকার ১৮৭ কোটি ৫০ লাখ ও ১০০০ টাকার ১০০ কোটি টাকা।  

বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখার মহাব্যবস্থাপক অসীম মজুমদার বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

 

তিনি জানান, বরাবরের মতো এবারও কোরবানির ঈদে বড় নোটের (৫০০-১০০০) চাহিদা বেশি। ৬ ধরনের নোটে মোট ৩৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার নতুন নোট বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা শাখা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। যা ঈদুল ফিতরে ছিল ৩৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।  

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ আগস্ট) থেকে নতুন নোট বিনিময় শুরু হয়েছে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া) নতুন টাকা নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এবার ২ টাকা ও ৫ টাকার নতুন নোট বিনিময়ের সুযোগ না থাকলেও ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ টাকার পাশাপাশি ১০০০ টাকার নতুন নোট বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে।  

একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, ঈদে সেলামি হিসেবে নতুন টাকা পেতে পছন্দ করেন ছোট-বড় সবাই। এ কারণে ঈদ এলেই নতুন টাকা বদলে নিতে ব্যাংকে ভিড় জমাতে শুরু করেছে সব শ্রেণীর মানুষ।  

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সপ্তাহের শেষ দিন চকচকে নতুন নোট নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। কাঙ্ক্ষিত নতুন নোট পেয়ে অনেককে হাসি মুখে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। যারা ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারেননি তারা ব্যাংকের সামনের সড়কের ফুটপাত থেকে অতিরিক্ত মাসুল দিয়ে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন।  

ব্যবসায়ী শামীম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শিশুদের ঈদের আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে  নতুন নোট। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও শিশুদের সেলামি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন নোট এনেছি। নোট সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হয়েছে।  

স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক খুলনা শাখার সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ব্যাংকার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ মোসলেহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যেক ঈদ মৌসুমে নতুন নোটের চাহিদা থাকে। ঝকঝকে-চকচকে বিভিন্ন অঙ্কের নোট নিতে সাধারণ মানুষ বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি আমাদের ব্যাংকেও ভিড় জমান।  

তিনি আরও বলেন, ঈদে সকলের কাছে নতুন টাকার চাহিদা রয়েছে। ছোটরা যেমন ঈদ সেলামিতে নতুন নোট পেলে খুশি হয়, তেমনি বড়রাও ঈদের দিন নতুন নোটের টাকা দিতেও আনন্দবোধ করেন। প্রতি ঈদে নতুন টাকা সংগ্রহের ধুম পড়ে যায় ব্যাংকগুলোতে। এবারও ব্যতিক্রম নয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।