বৃহস্পতিবার ( ১৬ আগস্ট) সকালে সাভারে বংশী নদীর ভাগলপুর বালুঘাট এলাকা থেকে রোহানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় রোহান।
রোহান সাভারের তালবাগ মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কিডস ইউনিভার্সিটি স্কুল অব এক্সিলেন্সির পিএসসি বিভাগের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র।
রোহানের আটক দু’জন বন্ধু পার্শ্ববর্তী শওকত মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া (শিশু হওয়ায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হলো না)।
রোহানের বাবা আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার দুপুরে শোকদিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে আমার ছেলেকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন ছেলে। এরপর সে আর সারাদিন বাসায় ফেরেনি। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার সকালে বালুঘাট থেকে বস্তার ভেতরে রোহানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর প্রতিবেশী শওকতের দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে তার বালুমাখা প্যান্ট পাওয়া গেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, রোহান খুবই চঞ্চল, সাহসী এবং মিশুক ছেলে ছিল। সবাই তাকে বেশ আদরও করতো। এতো চটপটে একটি শিশুকে কিভাবে এমন নির্মম কায়দায় হত্যা করা হলো তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না স্বজনরা। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার আকাশ-বাতাশ।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুলক হক বলেন, রোহানের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এসআই জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- রোহানকে ঘাড় মটকে হত্যার পর চেহারা নষ্ট করার জন্য ইট দিয়ে মুখমণ্ডল থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে অন্য কোথাও হত্যা করে সেখান থেকে বস্তায় ভরে মরদেহটি বালুঘাটে ফেলে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এএটি/এইচএ/