বুধবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। মুর্শেদ মিয়া ওই গ্রামের মৃত আবুল মিয়া মাস্টারের ছেলে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জলমহাল নিয়ে ওই গ্রামের আরজু মিয়া এবং আবু তালেব মিয়ার লোকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ এবং মামলা-পাল্টা মামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যায় আবু তালেব পক্ষের লোক মুর্শেদ মিয়া স্থানীয় নয়াবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় আরজু মিয়ার লোকজন তার গতিরোধ করে কুপিয়ে জখম করে। এতে মুর্শেদের বাম হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়াও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুর রহমান সোহাগ বাংলানিউজকে জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়াও শরীরে অসংখ্য আঘাত রয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শিগিরিই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এনটি