বুধবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে এ কর্মসূচি চলে। এসময় কারখানার ভেতরে মালিকপক্ষের এক কর্মকর্তাসহ পাঁচ স্টাফকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিগত এক বছর ধরে শুধু সাব-কন্ট্রাক্টের কাজ থাকায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ভর্তুকি গুণতে হচ্ছিল মালিককে। এছাড়া গত জুনে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে সাব-কন্ট্রাক্টের প্রায় ৮০ হাজার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার জন্য বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত খরচ করে জেনারেটর চালাতে হয়েছে। কিন্তু এরইমধ্যে জুলাইয়ের ১০ তারিখ এলে শ্রমিকরা জুন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কাজ বন্ধ করে দিয়ে কারখানায় কর্মবিরতি পালন করে। ফলে সার্বিক দিক দিয়ে বিপাকে পড়েন কারখানার মালিক। এসময় আমি শ্রমিকদের ২০ জুলাই বেতন পরিশোধ করা হবে বলে কাজ বন্ধ না রাখতে অনুরোধ করলেও কোনো লাভ হয়নি। পরবর্তীতে কোনো উপায় না পেয়ে মালিক কারখানাটি বন্ধ করতে বাধ্য হন। তবে মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় মালিকের নির্দেশে শ্রমিকদের জুন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য আমি ও পাঁচজন স্টাফ কারখানায় আসি। কিন্তু শ্রমিকরা এক মাসের বেতন না নেওয়ার কথা জানিয়ে জুলাই মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আমাদের কারখানার অফিস কক্ষে আটকে রাখেন।
এদিকে, কারখানার সামনে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকরা বাংলানিউজকে জানান, টাকার অভাবে তাদের বাসা ভাড়া ও দোকানের টাকা বাকি পড়ে গেছে। সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে বর্তমানে দেয়ালে তাদের পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা। এখন তারা যখন আন্দোলনে নামলো তখন কেবল জুন মাসের বকেয়া পরিশোধ করা হবে বলে মালিক লোক পাঠিয়েছেন। কিন্তু এতোদিন কর্মহীন অবস্থা পাড় করার পর সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে তারা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে জানান।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার ছানা শামিনুর রহমান শামীম বাংলানিউজকে বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানার অভ্যন্তরে শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া বিকেলে মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএ’র বৈঠকের পর শ্রমিকরা তাদের পাওনা বুঝে পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
টিএ