ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

যুদ্ধের পর দেশে দুর্ভিক্ষ না হওয়ার কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
যুদ্ধের পর দেশে দুর্ভিক্ষ না হওয়ার কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুর জাতীয় জাদুঘরে সেমিনারে বক্তারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত এদেশে ১৯৭২-৭৩ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়নি তার পুরো কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুর ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও জনতা ব্যাংক বোর্ড অব ডিরেক্টরের পরিচালক আবুল কাসেম।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরে 'বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশের অর্থনীতি ও শিল্পের বিকাশ' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনতা ব্যাংক বোর্ড অব ডিরেক্টরের পরিচালক আবুল কাসেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাদুঘরের মহাপরিচালক আব্দুল মান্নান ইলিয়াস। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস পালন উপলক্ষে জাদুঘর মাসজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দেশের মানুষদের মধ্যে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা ও তার ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে সঠিক ধারণা জন্মানো এ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

প্রবন্ধ উপস্থাপনায় আবুল কাসেম বলেন, প্রাচীনকাল থেকে এদেশের শিল্প ছিল উন্নত। বঙ্গবন্ধু শিল্প ও পরিচালনার নানা কাজে একটি বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেন যাতে এদেশ শিল্প ও বাণিজ্যের দিক থেকে উন্নতি লাভ করতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে বন্যা এবং দুর্ভিক্ষে দেশের অবস্থা খারাপ হয়। তিনি সে সময় রাশিয়ার কাছ থেকে বাকিতে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেন। বঙ্গবন্ধু একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিল্প কারখানাগুলো জাতীয়করণ করেন। ফলে দেশের সাড়ে সাত কোটি জনগণ উপকৃত হন। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শিল্প কল-কারখানার ক্ষতি পরিমাণ নিরূপন করে তা মেরামত ও পুনঃনির্মাণ করার জন্য নির্দেশনা দেন।

ড. আতিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু দুর্ভিক্ষকালীন লঙ্গরখানা খুলেছিলেন। সাধারণ মানুষের প্রতি তার ছিল অসীম দরদ যা তার নিজ লেখনী কারাগারের রোজনামচা থেকে জানা যায়। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য ছিলেন দেবতুল্য। ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির সাধারণ মানুষের মুক্তিবার্তা, যেখানে তার আঙুলের নড়ন, দেহভঙ্গী ছিল অর্কেস্ট্রার মতো। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ভাষণেই তিনি বলেছিলেন বাংলার মাটি মানুষ নিয়েই সামনে এগিয়ে যাবেন, যা ছিল তার অর্থনৈতিক কৌশল।

প্রধান অতিথি হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সমাজের উন্নয়নে রাষ্ট্র কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ কোন পথে হাঁটছে তা বুঝতে হলে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চশমা দিয়ে দেখতে হবে। বর্তমান সরকার পিছিয়ে থাকা মানুষকে টেনে আনার চেষ্টা করেছে বলেই আজ বাংলাদেশ অর্থনীতিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি করেছে।

সভাপতি বক্তব্যে মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করেই এদেশের উন্নয়ন সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।