ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফেনী ফতেহপুর ওভারপাস উদ্বোধন, ঈদযাত্রায় মিলবে স্বস্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
ফেনী ফতেহপুর ওভারপাস উদ্বোধন, ঈদযাত্রায় মিলবে স্বস্তি ফেনী ফতেহপুর রেল ওভারপাস উদ্বোধন/ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোপূর্বে পৃথকভাবে ওভারপাসের ঢাকামুখী দু’টি লেন খুলে দিলেও এবার পুরোটা উন্মুক্ত করে দেয়া হলো। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হয়ে চলাচলকারীদের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলেই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে ফেনী জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি জাহানারা বেগম সুরমা, জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান, সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন কমান্ডিং কর্মকর্তা লে. কর্নেল রোমিও নওরিন, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশনের পরিচালক, কর্নেল এস এম জাকারিয়া, সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকদুর রহমান বিকম সহ জেলার গণ্যমান্য আরো অনেকে।  

চারলেনের ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসটি উদ্বোধনের ফলে বাণিজ্যিক শহর চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ সহজতর হবে এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে ১৫ মে ও ২০ মে ফতেহপুর ওভারপাসের রাজধানী ঢাকামুখী দু’টি লেন খুলে দেয় নির্মাণ কাজে দায়িত্বে থাকা ৩৪ ইসিবি। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন চিফ মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের চেয়ারম্যান কবির আহমদ প্রমুখ উপস্থিত থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।  

দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের ফেনী অংশের ফতেহপুরে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ কাজ চলায় সড়কটিতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মহাভোগান্তিতে পড়েতে হতো গাড়ির চালকসহ যাতায়তকারীদের। নির্মাণ কাজের দীর্ঘসূত্রিতায় মহাসড়কের এ অংশে  যানজট ছিল প্রতিদিনের ঘটনা।
 
২০১২ সালে প্রকল্পটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স শিপো পিবিএল’ নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ না করে চাঁদাবাজির মুখে পড়ে পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৭ সালে কাজটি দেয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশনকে। তাদের তত্ত্বাবধানে ‘আল-আমিন কনস্ট্রাকশন’ ৬০ কোটি ৫১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এসএইচডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad