ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে কাজ করছে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে কাজ করছে সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেনীর ফতেহপুর রেল ওভারপাস ও জয়পুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা হাইওয়ের (এন-৪) বিভিন্ন স্থানে ২৩টি সেতু উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।  

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চাললেনে উন্ণীত করার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।

এ প্রকল্পের আওতায় উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ তৈরি করা হচ্ছে। এ উন্নয়নের ছোঁয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাবে।  

তিনি বলেন, এখন থেকে যতগুলো কাজ হচ্ছে (সড়ক-মহাসড়ক) তার পাশে আলাদা লেন করা হচ্ছে। সেগুলোতে স্থানীয় যানবাহন চলবে। যাতে ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়নের যোগাযোগ করা যায়। যোগাযোগ যাতে আরও উন্নত করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যমুনা-বঙ্গবন্ধু সেতু করার সময় আমরা পাশে রিকশা-ভ্যান বা ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য লেন করেছিলাম। এসব রাস্তা করতে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনীর ৩৪ ও ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশান ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এবং কম খরচে এসব কাজ করেছে।  

শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।  এ যাত্রা কখনো সহজ ছিল না। কারণ আমাকে বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু আমি কখনো পিছিয়ে যাইনি। যদিও আমি আমার সব প্রিয়জনকে হারানোর বিরাট বেদনা নিয়ে বাস করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু পরাজিত শক্তিও বসে থাকেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একটি অগ্রসরমান জাতির ওপর তারা চূড়ান্তভাবে আঘাত করে।

শেখ হাসিনা বলেন, এসব সেতু কেবল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই নিশ্চিত করবে না, জাতির পিতার স্বপ্নের আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও নতুন যুগের সূচনা করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এখন থেকে স্থানীয় পরিবহন ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য দু’টি অতিরিক্ত সার্ভিস রোড রেখে চার লেন বিশিষ্ট মহাসড়ক নির্মাণ করছে।

এসব সড়ক দুর্ঘটনা কমাবে এবং স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলও নির্বিঘ্ন থাকবে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, জয়পুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা হাইওয়ের ওপরে নির্মিত সেতুগুলো ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাবে এবং রেলওয়ের ওভারপাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রা সহজ করবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জয়পুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা হাইওয়ের ওপর ৩০৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ ২৩টি সেতু নির্মাণ করেছে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ফতেহপুরে ৮৬ দশমিক ৭৯ মিটার দীর্ঘ রেলওয়ে ওভারপাসটি নির্মাণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান নগরীগুলোর মধ্যে দ্রুতগামী ট্রেন চালু করার জন্য তার সরকারের পরিকল্পনা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে ঢাকায় এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ।

ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান।

** ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রধানমন্ত্রীর ২৩ সেতু উদ্বোধন 

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।