কেবল বাংলাদেশিরাই নন, ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীরাও হয়রানি-লাঞ্ছনা আর মারধরের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলববার (১৪ আগস্ট) সকালে পেট্রাপোল চেকপোস্ট ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগপত্র দায়ের করে।
অ্যাসোসিয়েশনের ৮টি অভিযোগ:
এক. বাংলাদেশি যাত্রী যেদিন ভারতে যায় পরদিন তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয় না। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ যাত্রীকে আরো একদিন থেকে আসতে বলে। মাল্টিপল ভিসায় কেন এমন বলা হবে?
দুই. ঢাকা-কলকাতা-আগরতলা রুটের বাসের যাত্রীরা প্রথমবার ভারতে যাওযার সময় অবস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে না পারলে তাদের এন্ট্রি রিফিউজ সিল মারা হয় না। কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের ক্ষেত্রে এন্ট্রি রিফিউজ সিল মেরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
তিন. বাংলাদেশি যাত্রীদের এক বছরের মাল্টিপল ভিসা থাকলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের ৫ থেকে ১০ দিন ভারতে অবস্থানের কথা বলছেন।
চার. ঢাকা-কলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী বাসের কোন যাত্রীকে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসে তল্লাশি ও পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে লাইনে দাঁড়াতে হয় না। কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়।
পাঁচ. ভারতীয় যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ইমিগ্রেশনে ডকুমেন্ট নিয়ে হয়রানি এমনকি মারধরও করা হচ্ছে।
ছয়. ইমিগ্রেশনের অফিসাররা অকারণে বাংলাদেশি-ভারতীয় সবার সাথে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করে থাকেন।
সাত. বাংলাদেশি নারী যাত্রীকে ভারতে ঢোকার সময় তার মোবাইল নম্বর নেওয়া হয়। দুই-তিন ঘণ্টা অফিস রুমে বসিয়ে জেরা করা হয়।
আট. বাংলাদেশি যাত্রী এক বছরের ভিসায় নিয়ম অনুযায়ী ভারতে ঢুকে এক নাগাদ তিন মাস থাকতে পারবেন। কিন্তু ফেরার সময় তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কোন অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও জেরা এবং পরবর্তীতে এক মাসের মধ্যে আর ঢুকতে নিষেধ করা হচ্ছে। কেন এমন হবে? সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই তো ভারতীয় হাইকমিশন তাকে ভিসা দিয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকালে বাংলানিউজকে জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে স্বল্পসময়ে যাত্রীদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে কাজের বিষয়ে যাত্রীরা নানান অভিযোগ করেন। অহেতুক হয়রানি বন্ধ করতে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এজেডএইচ/এমজেএফ