ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র ঘোচাবে দারিদ্র্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র ঘোচাবে দারিদ্র্য রায়পুরে মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র

লক্ষ্মীপুর: উপকূলীয় সমবায় কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়ন, কর্মসংস্থান, দুধ ও মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। উন্নতজাতের মহিষ প্রজননের মাধ্যমে চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে মহিষের উৎপাদন বাড়বে। এতে বদলে যাবে এ জনপদের পিছিয়েপড়া মানুষের জীবনযাত্রার মান, কাটবে দারিদ্র্য।

লক্ষ্মীপুর উপকূলীয় জেলা হওয়ায় মহিষ পালনে উপযোগী। জেলার রামগতি ও কমলনগরের মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে স্থানীয়রা দেশীয় জাতের মহিষ পালন করে আসছেন।

ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় এই প্রথম পরিকল্পিতভাবে রায়পুর উপজেলার মিতালি বাজার এলাকায় কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়।  

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ১০ মে ওই কেন্দ্রে ভারত থেকে উন্নত জাতের ৮৭টি মহিষ ও ৫০টি বাছুর আমদানি করা হয়। এরমধ্যে ২৭টি মহিষ গর্ভবতী। এখানে আরো ১০০ মহিষ আমদানি করা হবে।

রায়পুরে মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র

এসব মহিষ ও বাছুরকে ঘাসের পাশাপাশি গমের ভূষি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, সয়াবিন খৈল, তিলের খৈল, খেসারির ভূষিসহ বিভিন্ন দানাদার খাবার খাওয়ানো হয়। খাদ্য তালিকায় রয়েছে ক্যালসিয়াম পাউডার ও ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স। যথাযথ পরিচর্যা ও যত্নে মহিষ প্রতিদিন ৭ লিটার দুধ দেয়। উন্নত জাতের মহিষ ১৫ থেকে ২০ লিটার পর্যন্ত দুধ দিয়ে থাকে। এদিকে দেশীয় প্রজাতির মহিষ থেকে মাত্র দেড়/দুই লিটার দুধ সংগ্রহ করা যায়।

২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে রায়পুর মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজ করা হয়। এরমধ্যে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটে একটি উপ-কেন্দ্রও রয়েছে। ব্যয়ের অর্থের মধ্যে সরকার ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৭ হাজার এবং ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা মিল্কভিটা অনুদান দিয়েছে।  

রায়পুরে মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ফরহাদুল আলম বলেন, আমাদের সমবায়ীদের পালনের জন্য উন্নতজাতের এসব মহিষ দেওয়া হবে। গরুর পাশাপাশি মহিষ পালন করে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন।

রায়পুরে মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র  

রায়পুর মহিষ প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক প্রিতম কুমার দাস বলেন, মহিষের মাংস ও দুধ স্বাস্থ্যসম্মত। একটি মহিষের জন্য প্রতিদিন ২০ কেজি ঘাসের প্রয়োজন। জমি ও ঘাস চাষের ব্যবস্থা না থাকায় পরিমাণ মতো খাবার উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। খাবারের চাহিদা মেটাতে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে খড় কিনে আনতে হয়। ভূমি ও ঘাস সংকট নিরসনের লক্ষ্যে খাস জমির জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এসআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।