লক্ষ্মীপুর উপকূলীয় জেলা হওয়ায় মহিষ পালনে উপযোগী। জেলার রামগতি ও কমলনগরের মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে স্থানীয়রা দেশীয় জাতের মহিষ পালন করে আসছেন।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ১০ মে ওই কেন্দ্রে ভারত থেকে উন্নত জাতের ৮৭টি মহিষ ও ৫০টি বাছুর আমদানি করা হয়। এরমধ্যে ২৭টি মহিষ গর্ভবতী। এখানে আরো ১০০ মহিষ আমদানি করা হবে।
এসব মহিষ ও বাছুরকে ঘাসের পাশাপাশি গমের ভূষি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, সয়াবিন খৈল, তিলের খৈল, খেসারির ভূষিসহ বিভিন্ন দানাদার খাবার খাওয়ানো হয়। খাদ্য তালিকায় রয়েছে ক্যালসিয়াম পাউডার ও ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স। যথাযথ পরিচর্যা ও যত্নে মহিষ প্রতিদিন ৭ লিটার দুধ দেয়। উন্নত জাতের মহিষ ১৫ থেকে ২০ লিটার পর্যন্ত দুধ দিয়ে থাকে। এদিকে দেশীয় প্রজাতির মহিষ থেকে মাত্র দেড়/দুই লিটার দুধ সংগ্রহ করা যায়।
২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে রায়পুর মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজ করা হয়। এরমধ্যে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটে একটি উপ-কেন্দ্রও রয়েছে। ব্যয়ের অর্থের মধ্যে সরকার ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৭ হাজার এবং ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা মিল্কভিটা অনুদান দিয়েছে।
রায়পুরে মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ফরহাদুল আলম বলেন, আমাদের সমবায়ীদের পালনের জন্য উন্নতজাতের এসব মহিষ দেওয়া হবে। গরুর পাশাপাশি মহিষ পালন করে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন।
রায়পুর মহিষ প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক প্রিতম কুমার দাস বলেন, মহিষের মাংস ও দুধ স্বাস্থ্যসম্মত। একটি মহিষের জন্য প্রতিদিন ২০ কেজি ঘাসের প্রয়োজন। জমি ও ঘাস চাষের ব্যবস্থা না থাকায় পরিমাণ মতো খাবার উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। খাবারের চাহিদা মেটাতে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে খড় কিনে আনতে হয়। ভূমি ও ঘাস সংকট নিরসনের লক্ষ্যে খাস জমির জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এসআর/এমজেএফ