ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সমস্যা সংকটের কথা বড় পর্দায় তুলে আনতেন মাসুদ ও মিশুক

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
সমস্যা সংকটের কথা বড় পর্দায় তুলে আনতেন মাসুদ ও মিশুক তারেক মাসুদ, মিশুক ও মুনীরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা

ঢাকা: দেশের চলমান সামাজিক সমস্যা ও নানা সংকটের কথাগুলো নিয়ে তারেক মাসুদ, মিশুক ও মুনীর প্রচারণামূলক শিল্প নির্মাণের প্রয়াসে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তাদের স্মরণসভার বক্তারা। 

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও চলচ্চিত্র গ্রাহক-সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ আরও তিনজন চলচ্চিত্রকর্মী।

সোমবার (১৩ আগস্ট) ছিলো এ গুণীজনদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী।

এদিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল-সংলগ্ন সড়কদ্বীপে তারেক-মিশুক স্মৃতিস্থাপনা প্রাঙ্গনে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণ আলোচনার আয়োজন করে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ এবং তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।

আয়োজনে তারেক মাসুদের স্ত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্যাথরিন মাসুদ বলেন, তারেক ও মিশুক দুজনেই সামাজিক সমস্যা, সংকটের কথা সাহসিকতার সঙ্গে বড় পর্দায় তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তারা দেশের কথা বলতে চেয়েছেন বারবার। কিন্তু তাদের কাজটি তারা সম্পন্ন করে যেতে পারেননি।

স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, সেদিনের দুর্ঘটনায় আহত শিল্পী ঢালী আল মামুন, অধিকারকর্মী খুশী কবির।

জোকার সেই দুর্ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করে নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বলেন, এ দুর্ঘটনা আমাদের স্বপ্নকেই কেড়ে নেয়নি, হত্যা করেছে আমাদের সম্ভাবনাকেও। তারা দুজনে বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ (এফএফএসবি) সভাপতি স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমি। আয়োজনে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাদের স্মরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এইচএমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।