ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুই বাঙালির স্বাধীনতার সফল বাস্তবায়ন করেছিলেন

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
বঙ্গবন্ধুই বাঙালির স্বাধীনতার সফল বাস্তবায়ন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা

ঢাকা: সুভাষ চন্দ্র বসুসহ যুগে যুগে বহু স্বাধীনতাকামী নেতা বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু কেউ পুরোপুরি সফল হতে পারেননি। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই বাঙালির স্বাধীনতার সফল বাস্তবায়ন করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

সোমবার (১৩ আগষ্ট) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একাধারে মুক্তিযুদ্ধের সফল মহানায়ক, রাষ্ট্রনায়ক এবং সফল রাজনীতিবিদ।

মোদ্দাকথা তিনি ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ, তথা মহামানব। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণ ও দূরদর্শী মানুষ ছিলেন। এ কারণেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমি, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল আর্কাইভস প্রতিষ্ঠা এবং দুস্থ খেলোয়াড় ও শিল্পীদের জন্য তহবিল গড়ে তোলার কথা ভাবতে পেরেছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এদেশের গরিব-দুঃখী আপামর জনসাধারণ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি সংস্কার, বিদ্যুৎ, স্যাটেলাইটসহ এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেটি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনা ছিল না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন মোল্যা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাবেদুল ইসলাম এবং প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক মুহাম্মদ শামসুল হক। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির সচিব ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য নেতৃত্বে যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিক্রমা সম্পন্ন হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রগঠনেও তার অবদান চিরস্মরণীয়।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন মোল্যা বলেন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে উচ্চকিত করেছেন। তার সৃষ্ট সাংবিধানিক সুরক্ষার ফলে বাংলার মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, সবাই এক কাতারে দেশ গড়ার জন্য জাতীয় শক্তির বলয় তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর উগ্র বাম ও ডানপন্থি গোষ্ঠী দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটায়। তারা খুন, রাহাজানি, সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে সংসদীয় সরকারের জন্য এক অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধুকে এসব নেতিবাচক পরিস্থিতির মোকাবেলা করে দেশ গঠনের কাজকে এগিয়ে নিতে হয়েছে।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরামের উপদেষ্টা ড. আবদুল্লাহেল বারী ও কবি হাসান আরিফ।  

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, তিমির নন্দী, শিবু রায়, মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।