অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৩ আগস্ট) কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ ও উত্তম চর্চার বিকাশে এফএম বেতারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, বিআরটিএর বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে কমিশন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিযান পরিচালনা করেছে। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে, গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তারপরও তাদের বিষয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। কমিশন তাদের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পদচারী সেতু রয়েছে অথচ আমরা অনেকে ব্যবহার করবো না এটা হতে পারে না। আমরা যারা আইন প্রয়োগ করব তারা সবার আগে আইন মানব এটা জনসাধারণ দেখতে চায়।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কেউ যদি আইন অমান্য করে দুর্নীতি করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে অন্যান্য নাগরিকের বিরুদ্ধে যেভাবে আইন প্রয়োগ করা হয় একইভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে ঘরে-বাইরে কাউকেই কোনো প্রকার অনুকম্পা দেখানো হবে না।
দুদকের হটলাইনসহ (১০৬) বিভিন্ন মাধ্যমে কমিশনে হাজার হাজার অভিযোগ আসে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এসব অভিযোগের অধিকাংশই কমিশন আইনের তফসিল বহির্ভূত হওয়ায় কমিশনের পক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকে না। এতে অভিযোগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যায় এবং তারাও হতাশ হন।
এজন্য কমিশনের ‘আইনি ম্যান্ডেট’ প্রচারে এফএম বেতারের নির্বাহীদের সহযোগিতা চেয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
সভায় এফএম বেতার প্রতিনিধিরা রেটিং মান মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠান এমআরবি গ্লোবালের গবেষণার পদ্ধতির বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে দুদকের হস্তক্ষেপ চাইলে এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, রেডিও ও টেলিভিশনের মান নিয়ে কাজ করে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যপদ্ধতি কমিশন বিধিমত খতিয়ে দেখতে পারে।
সভায় অন্যদের মধ্যে রেডিও ভূমির স্টেশন চিফ শামস সুমন, পিপলস রেডিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালবক আব্দুল আউয়াল, রেডিও টুডের মো. সোয়েবুল হক, এবিসি রেডিও’র তালাত মাহমুদসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ