ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১০ আগস্ট) রংপুরের বদরগঞ্জে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুল বাড়ি নাপিতপাড়ায়।
এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করালেও সোমবার (১৩ আগস্ট) উজ্জল কুমার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, রাগের মাথায় আমি ভুল করেছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে সুমনার বিয়ে হয় উজ্জলের সঙ্গে। সুমনার বাবা না থাকায় মামার বাড়িতে মানুষ হয় সুমনা। তার মামারা বিয়েতে মোটরসাইকেল, নগদ দুই লাখ টাকা,স্বর্ণালঙ্কার উপঢৌকন হিসেবে জামাই উজ্জলকে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে সুমনা স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছেন। গত শুক্রবার বিকেলে বিড়ালকে চুরি করে ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি ও স্বামী মিলে সুমনাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমনার পেটে লাথিসহ গ্যাসে ছুরি গরম করে ঠোঁটে ছ্যাঁকা দেয়।
এ ঘটনায় শ্বশুর নীরেন চন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোক দেখানো চিকিৎসা নিয়ে সুমনাকে বাড়ি নিয়ে যায়। এমনকি তার গর্ভের সন্তানটি ঠিক আছে কিনা তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়নি।
সুমনার মা বিথি রানি বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মেয়ের বাড়িতে এলেও জামাইয়ের বাড়ির লোকজন তাকে তেমন পাত্তাই দিচ্ছে না। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান চান।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বাবুল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, আমার কাছে বিচারের আশায় মেয়েপক্ষের লোকজন এসেছিল। আমি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বাংলানিউজ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এএটি