সোমবার (১৩ আগস্ট) শিক্ষার্থীরা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতর বিক্ষোভ মিছিল করে। কলেজের বাইরে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের দফায় দফায় বাধা দেয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা জিয়ন হত্যার বিচার চাই। এদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হলে জিয়ন হত্যার বিচার হবে না কেন। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই। প্রতিশ্রুতি নয়, বিচার চাই।
সমাবেশে শিক্ষার্থী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা পারভীনসহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কর্মসূচি চলাকালীন নিহত সহপাঠী জিয়নের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো- কলেজের সামনে স্পিডব্রেকার নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস ও জিয়ন হত্যাকারী বাসচালকের ফাঁসি।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু রাফা মো. আরিফ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে ফেরে।
এদিকে এ ঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে রোববার (১২ আগস্ট) ঘাতক মিনিবাস ভাই-বোন পরিবহনের চালক গাইবান্ধা সাদ্যুল্লাহপুরের আব্দুল সালামের ছেলে ইরফান মিয়া ও হেলপার পলাশবাড়ির বাবর আলীর ছেলে বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে রোববার বেলা সাড়ে এগারোটায় নগরীর রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের দর্শনা এলাকায় মিনিবাসের চাপায় রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহাম্মেদ জিয়ন নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এএ