যদি সীমান্ত দিয়ে কোরবানির গবাদি পশু প্রবেশ করে তবে খামারিদের পড়তে হবে চরম লোকসানে। প্রতিবারের মতো এবারও সীমান্তে গরু প্রবেশ রোধে সর্তক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফেনীতে সারা বছরই গ্রামীণ হাট-বাজারে দেখা মিলে ভারতীয় গরুর। ফেনীর তিনদিকে ভারতীয় সীমানা থাকায় রাতের আঁধারে দেশে প্রবেশ করে এসব ভারতীয় গরু। এতে করে দেশীয় খামারিরা গরুর ন্যায্য দাম নিয়ে বিপাকে পড়েন। সীমান্তে তারকাঁটার বেড়া ডিঙ্গিয়ে গভীর রাতে দেশে আসে ভারতীয় গরু। শুরুতে এসব গরু রাখা হয় সীমান্তবর্তী বিভিন্ন বাড়িঘরে। পরে সুযোগ বুঝে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন জায়গায়।
পরশুরাম পৌরসভার মেয়র ও গরু খামারি নিজাম উদ্দিন সাজেল ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রায় ৫ কোটি টাকার ৫শ’ গরু কিনেছেন। ইতোমধ্যে শতাধিক গরু বিক্রিও হয়ে গেছে। ভারতীয় গরু স্থানীয় বাজারে না উঠলে এই বিক্রেতা ব্যাপক লাভের আশা করছেন। ছোট ছোট খামারিদেও শঙ্কার নামও ভারতীয় গরু!
বাংলানিউজকে কয়েকজন গুরু খামারি জানান, ঈদ ঘনিয়ে এলে ভারতীয় কাঁটাতারের ফাঁক গলিয়ে আসতে থাকে ভারতীয় গরু, মহিষ। আর এটার সাথে জড়িত থাকে স্থানীয় কিছু ব্যাপারি ও জনপ্রতিনিধি। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিও এ চক্রের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গরু খামারিরা।
তবে পরশুরাম বিলোনিয়া সীমান্ত দিয়ে যাতে গরু চোরাচালান না হতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ রয়েছেন বলে জানান পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান উদদিন মুরাদ।
ফেনী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন স্থানীয় গরু খামারি অত্র উপজেলায় গরুর লালন পালনে যেন কোন রাসায়নিক ব্যাবহার না করে সে ব্যাপা সোচ্চার রয়েছেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসএইচডি/এমজেএফ