ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভার বৈঠক

ঢাকা: ‘বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৩ আগস্ট) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
 
এর আগে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।


 
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অন্য যে সব ইনস্টিটিউট হয়, এটা একই রকমের। এই ইনস্টিটিউট ১৯৮৪ সালের একটি অর্ডিন্যান্স দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধান সদর দফতর ময়মনসিংহে। এটা একটা কাউন্সিলের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
 
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান। প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকলে ওনারা ভাইস চেয়ারম্যান। স্পিকার মনোনীত দু’জন সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মহাপরিচালক।
 
সদস্য হবেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান এবং অর্থ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, সরকার মনোনীত ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রমে নিয়োজিত দু’জন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বা পরিচালক, সরকার মনোনীত মৎস্যপণ্য কাজে নিয়োজিত দু’জন প্রতিনিধি, তাদের একজন বিশিষ্ট মৎস্যজীবী এবং অপরজন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য সম্পর্কিত বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধি। আর মহাপরিচালক বোর্ডের সদস্য সচিব হবে।
 
একজন মহাপরিচালক থাকবেন যিনি ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হবেন এবং এটার সার্বক্ষণিক নির্বাহী প্রধান হিসেবে কাজ করবেন।
 
আইনে নতুন একটি সংযোজন রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইনস্টিটিউটে কর্মরত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বা তদুর্ধ্ব পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মৎস্য শিল্প স্থাপন বা অনুসন্ধান বা পরামর্শ দিলে বোর্ড নির্ধারিত হারে ফি প্রাপ্য হবে।  
 
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে একটি প্রটোকল অনুমোদন দেওয়া হয়।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে রাশিয়ান ফেডারেশনের রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নিয়ে আগেই যে চুক্তি হয়েছিল, ওটার সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রটোকলে এই অংশটুকু ইনসার্ট করার জন্য সংশোধনী আনা হয়েছে। এটাতে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।