রোববার (১২ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের আথাকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সফিকুল স্থানীয় ঠাকুর বাড়ির সেকান্তর মিয়ার ছেলে।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আথাকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে আসছিল। আথাকরা বাজার এলাকায় এলে সফিকুল তার শ্লীলতাহানি করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সে (ছাত্রী) চিৎকার দিয়ে দৌড়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে কান্না করে শিক্ষক ও সহপাঠিদের ঘটনাটি জানায়।
পরে বিকেলে বিদ্যালয়ে বৈঠক ডেকে সফিকুলকে হাজির করা হয়। সেখানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জিএম ছায়েদ আলী, প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হামিদ, সাবেক ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনসহ কয়েকজন মাতব্বর উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শাস্তি হিসেবে অভিযুক্তের ১০ বেত্রাঘাত ও নাকে খত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে তা বাস্তবায়ন করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হামিদ বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর মায়ের উপস্থিতিতে এলাকার গণ্যমান্য লোকজন বৈঠক করেছেন। সেখানে আমরা ঘটনার সমাধান করেছি।
ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিক বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি ইউএনওকে লিখিতভাবে জানাতে বিদ্যালয়ের সভাপতিকে বলা হয়েছে। পরে শুনেছি, তারা বেত্রাঘাত ও নাখে খত দিয়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দিয়েছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার রিজাউল করিম বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এসআর/আরবি/
