রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে একথা বলেন ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মাশফিক আলম ভূঞা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার মেজর কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) সেচ প্রকল্প এলাকায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ডিএনডি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (ফেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী।
মাশফিক আলম ভূঞা বলেন, ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএনডি প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয়। এর মেয়াদ শেষে হবে আগামী ২০২০ সালে। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের বেসিক সমস্যা সমাধান করার পর আর পানি জমবে না। আমরা সেভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও এ কাজের জন্য ৫৫৮ কোটি টাকার যে ব্যয় ধরা হয়েছে সেটাও বাড়বে।
‘মূলত এখানে ড্যাম্পিং নেই, খালগুলোর নিচ দিয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসাসহ বিভিন্ন লাইন রয়েছে। এজন্য পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও উচ্চ আদালত থেকে ২৬ জন অবৈধ স্থাপনার মালিক আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়ে এসেছেন। এ ২৬ জনের জন্য ২২ লাখ লোকের সমস্যা হচ্ছে। আমরা এসব কিছুই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করছি।
তিনি আরো জানান, ডিএনডি প্রকল্পের অধীনে ৯৪ কিলোমিটার খালের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের ৫৪ কিলোমিটার বুঝিয়ে দিয়েছে। এখনও ৪০ কিলোমিটার বুঝিয়ে দেওয়ার বাকি। এর মধ্যে আমরা ৫০ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করে ফেলেছি।
সীমানা নির্ধারণ প্রকল্পের কাজের বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ডিসি অফিস ও কানুনগো এসে জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু অনেক পুরনো কাগজ হওয়ায় অনেক সময় না পাওয়ার কারণে বিলম্ব হয়। এছাড়াও সরকারি অন্য সংস্থার কাছ থেকে ঠিকভাবে সহযোগিতাও পাচ্ছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এএ