ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্যে পাটের বস্তা বাধ্যতামূলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্যে পাটের বস্তা বাধ্যতামূলক

ঢাকা: হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য মোড়কে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এর ধারা ২২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩ এর অধিকতর সংশোধন করে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।
 

এখন থেকে এ দু’টি পণ্যসহ মোট ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। গত ৬ আগস্ট জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন রোববার (১২ আগস্ট) প্রকাশ করা হয়েছে।


 
মন্ত্রণালয় জানায়, আইন অনুযায়ী ছয়টি পণ্য (ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি) পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। পরবর্তীতে গত বছরের ২১ জানুয়ারি আরো ১১টি (মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়া) পণ্যসহ মোট ১৭টি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার নির্ধারিত করে।
 
‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ধারা-১৪ অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনঃসংগঠিত হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
 
আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ১০০ কোটিরও বেশি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
 
এছাড়াও স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, পাট চাষির পাটের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং সর্বোপরি পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।