সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পক্ষে ডলি বেগম বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবৎ কয়েকটি সঞ্চয়ী সমিতি উপজেলার সদর ইউনিয়েনের উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের অর্ধশিক্ষিত, দরিদ্র নারীদের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা দিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় এলাকার দরিদ্র নারীরা বিভিন্ন সমিতির কাছ থেকে ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা নিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ২ বছর আগে দলনেত্রী লাইলী নারীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে সমিতির কর্মকর্তাদের যোগসাজসে আটটি ক্ষুদ্র ঋণ সমিতি থেকে ১৫ নারীর নামে ৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করেন। এ ঋণ উত্তোলনকালে সমিতির কর্মকর্তারা দলপ্রধানের কারণ দেখিয়ে সরাসরি লাইলীর হাতে ঋণের টাকা তুলে দেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা জানান, টাকা তোলার সময় আমাদের নামে টাকা তুলে ফেরৎ না দিলে এর দায় কে নেবে এমন প্রশ্ন করলে লাইলী নারীদের এই ঋণের কিস্তি পরিশোধসহ সব দায়িত্ব বহন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এর ২ বছর পর গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ব্র্যাক, বুরে্যা, পল্লী দরিদ্র, শক্তি ফাউন্ডেশন, সিসিডি, পাতাকুঁড়ি সোসাইটি, আগ্রহ ফাউন্ডেশন ও আশার ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা বাড়ি গিয়ে ঋণ কিস্তি পরিশোধের তাগিদ দেয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা আরও বলেন, এ ঘটনায় আমরা জানতে পারি বিগত ২ বছর লাইলী নিয়মিত ঋণ কিস্তি পরিশোধ করে আসছিলেন। এ বিষয়ে জানার জন্য আমরা সব নারী সদস্যরা লাইলীর বাড়ি গিয়ে দেখি তিনি পালিয়ে গেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত নারী শৈলী বৈদ্য, আর্চনা বৈদ্য, লক্ষী সূত্র ধর, সুফিয়া বেগম, ছয়ফুল বেগম, ডলি বেগম, আসমা বেগম, ছত্তারানী, আমিনা বেগম, রেনু বেগম, বানেছা বেগম, বেবী বেগম, সঞ্জু বৈদ্য,রহিমা বেগম ও সামসুন্নাহার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
বিবিবি/আরআর