এবারই প্রথম পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশের ১১ নম্বর সেক্টরে বসছে কোরবানি পশুর হাট। হযরত হোসেন আলী (র.) ওরফে লেংটা বাবার নামে ২০ একর জমির ওপর এ হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
হোসেন আলীর দরবার শরিফের ১৫০ সদস্যের একটা কমিটি আছে। তারাই মূলত এ হাটের উদ্যোক্তা। কোরবানির পশুর হাট থেকে আয় হওয়া একটা অংশ মাজারের উন্নয়নে ব্যয় হবে বলে জানান হাট সংশ্লিষ্টরা। হযরত হোসেন আলীর দরবার শরিফের প্রধান খাদেম জাকির হোসেন ভূইয়া। প্রায় ১৭ বছর এই মাজারের সেবায় নিয়োজিত তিনি। জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বাবার নামে কোরবানির পশুর হাটের নাম প্রস্তাব করেছিলাম রাউজউকের কাছে। তারা নাম মঞ্জুর করেছে। আশা করি হাট জমজমাট হবে। হাটের আয়ের একটা অংশ আমরা মাজার উন্নয়নে ব্যয় করবো। হাটে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে। পাইকারদের থাকা খাওয়ারও সুযোগ-সুবিধা থাকছে।
হাটের মূল ফটকে হযরত হোসেন আলীর নামে বিশাল তোরণ বানানো হয়েছে। এছাড়া হাটের জন্য মোট তিনটা গেট তৈরি করা হয়েছে। এখনও একটা গেটের কাজ বাকি রয়েছে। ট্রাক থেকে গরু নামানোর জন্য উঁচু স্থানও তৈরি করা হয়েছে। মাজারের পাশেই হাটের একপাশে বাঁশ আর ত্রিপল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আচ্ছাদন। এর নিচে গরু বাঁধার জন্য পোঁতা হয়েছে সারি সারি বাঁশের খুঁটি। শৌচাগার তৈরি, বাতির ব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বেপারিদের আবাস ও কোরবানির পশুর নিরাপত্তায় সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। হাটে জাল টাকা ধরতে থাকছে মেশিনও। এছাড়া পাঁচটি হাসিল ঘরও তৈরি করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার গরু বিক্রি করার মতো অবকাঠমোগত সুবিধা থাকছে হাটে।
জাকির হোসেন ভূইয়াসহ হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন ধরেই চলছে কর্ম তৎপরতা। এই হাটে ঝিনাইদহ, নোয়াখালী, কুষ্টিয়া, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গ থেকে রোববার (১২ আগস্ট) থেকে ট্রাকে করে গরু নিয়ে আসতে শুরু করবেন বেপারিরা। কয়েকদিনের মধ্যে হাট গরু-মহিষে ভর্তি হয়ে যাবে। পশু বিক্রির মূলপর্ব শুরু হবে ঈদের তিন-চার দিন আগে থেকে।
রূপগঞ্জ-কুড়িল-খিলক্ষেতসহ রাজধানীর আশপাশ থেকে অনেকেই পশু কেনার জন্য এ হাটে যাবেন বলে আশাবাদী ইজারাদাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এমআইএস/এইচএ/