রোববার (১২ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে ওই গ্রামের হাজী নেছার গাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালেহা ওই বাড়ির মাওলানা ফয়েজ উল্যাহ গাজীর স্ত্রী।
নিহত বৃদ্ধার দেবর হাফেজ ফোরকান বাংলানিউজকে জানান, সালেহা বেগম তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী। ওই ঘরে ভাবি এবং ছোট ভাতিজা মানজুরের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও তার শিশু সন্তান তাহিয়া থাকেন। প্রতিদিনের মতো তারা রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ৪টার দিকে তিনি নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় পাশের ঘর অর্থাৎ নিহতের ঘর থেকে লোকজন আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।
ঘটনাস্থলে গেলে জানতে পারেন সালেহা বেগম প্রকৃতি ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বাইরে বের হন। আগে থেকে ওত পেতে থাকা পাঁচ-ছয়জন ডাকাত সদস্য তার হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে রাখে। এসময় অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ঘরের ভেতরে নিয়ে আসে তারা। এ অবস্থায় ডাকাতরা মানজুরের স্ত্রী তাহমিনারও হাত-পা বেঁধে স্টিলের আলমিরার চাবি নিয়ে স্বর্ণলাংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক সাখাওয়াতকে আনা হলে তিনি সালেহা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফোরকান বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে জানান।
বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম মিয়াজী বাংলানিউজকে বলেন, ফজরের নামাজের পর তিনি জানতে পারেন ডাকাতি ও খুনের ঘটনা। তাৎক্ষণিক বিষয়টি চাঁদপুর মডেল থানায় অবহিত করেন। পুলিশ আসলে সকাল ৮টায় তিনি ঘটনাস্থলে আসেন এবং ঘরের ভেতরের খাটের ওপর সালেহার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
ঘরের সব জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখেছেন বলেও চেয়ারম্যান জানান চেয়াম্যান তাজুল ইসলাম।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উল্যাহ ওলি বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহত সালেহা বেগমের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
নিহতের ছেলেরা সবাই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে থাকেন। তারা আসলে চেয়ারম্যানসহ আলোচনা করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
জিপি