তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চাই না। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ওই দিন আমরা সমাবেশ করবো।
দায়িত্বরত অবস্থায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মোল্লা জালাল বলেন, দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় সাংবাদিক সমাজ বিক্ষোভে নেমেছে। আমাদের দাবি একটাই আমরা নিরাপত্তা চাই। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। সাংবাদিকদের দাবি হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।
সাংবাদিক সমাজ এখনই আপনাদের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) ঘৃণা জানাতে চায় না এমন কথা উল্লেখ করে বিএফইউজে সভাপতি বলেন, সাংবাদিকরা না লিখলে আপনারা বোবা হয়ে যাবেন। সাংবাদিকরা চান না আপনারা বোবা হয়ে যান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্দেশ্যে করে বিএফইউজে সভাপতি বলেন, যত দিন যাচ্ছে আপনারা অদক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছেন। পুলিশের দায়িত্ব নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া।
বিএফইউজের সহ-সভাপতি সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা বলেন, সাংবাদিকরা সময় বেঁধে দিয়েছিলো, সেই সময় পার হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে হয় বাসের ধাক্কা খাওয়ার পরে এখনো নড়তে পাড়ছেন না।
তিনি বলেন, লাঠি ও হেলমেটধারীদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নিউজ বর্জন করবো।
বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহামুদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে যারা নগ্ন উল্লাস করে। প্রশাসনের আড়ালে তারা নিজেদের নিরাপদে রেখেছে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন হামলাকারীদের গ্রেফতার করার। কিন্তু মন্ত্রী তা না করে উপহাস করে চলেছেন।
সাংবাদিকদের কাজ করতে দিন, রাজপথে ঠেলে দিবেন না এমন কথা উল্লেখ করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, হামলাকারীরা চিহ্নিত হলে তাদের গ্রেফতার করেন।
তিনি বলেন, সরকার সাংবাদিক হামলার বিষয়ে কোনো কাজ করে থাকলে তা দৃশ্যমান করেন।
বিএনপি-জামায়াত আমলে অনেক সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে, তখন বিচার চাই নাই। কারণ বিচার পাবো না। কিন্তু আমরা এখন বিচার চাচ্ছি কারণ, বর্তমানে ক্ষমতায় আছেন সাংবাদিকবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার। আমাদের কর্মসূচির কারণে সরকার বিব্রত হলে দায় নিতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে- যোগ করেন ডিইউজে সভাপতি।
বিএফিউজের কোষাদক্ষ দীপ আজাদ বলেন, সাংবাদিকরা রাস্তা বন্ধ, গাড়ি ভাঙচুর করবে না। কিন্তু এমন কর্মসূচি দেবে যা সামাল দিতে পারবেন না।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকরা একই বক্তব্য গত এক সপ্তাহ ধরে দিচ্ছে। একই বক্তব্য শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, যারা এখন পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছে তাদের কেন গ্রেফতার করা হয় নাই। সাংবাদিকরা যখন তাদের সংবাদ বর্জন করবে, তখন তাদের টনক নড়বে।
বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, ঢাকা সাব এডিটর কাউন্সিলের সভাপতি কে এম শহীদুল হক, বিএফইউজে দফতর সম্পাদক বরুণ ভৌমিক নয়ন, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য শেখ মামনূর রশীদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ