শনিবার (১১ আগস্ট) কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে এ চিত্র চোখে পড়ে। এদিন দেওয়া হচ্ছে ২০ আগস্টের টিকিট।
এর আগে বুধবার (০৮ আগস্ট) সকাল ৮টায় প্রথম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। চলবে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে একযোগে ট্রেনের এ টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, অগ্রিম টিকিট পেতে অনেকেই শুক্রবার বিকেলে স্টেশনে জড়ো হয়েছেন। সে লাইন বাড়তে বাড়তে ভোর ৩টার পর স্টেশন ছাড়িয়ে সড়কে চলে যায়।
এদিকে টিকিট প্রত্যাশীদের নিরাপত্তায় পুরো স্টেশন এলাকা গোপন ক্যামেরায় মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কালোবাজারে টিকিট বিক্রি প্রতিরোধে রয়েছে র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, আনসার বাহিনী। অন্যদিকে অপরাধীদের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ইয়ারুল ইসলাম রাজধানীর ফার্মগেট থেকে তিন বন্ধু মিলে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এসেছেন অগ্রিম টিকিট নিতে। তিনি বলেন, স্টেশনে এসে আমরা রাতের খাবার ও শুক্রবার সকালের নাস্তা সেরেছি। এখনও টিকিট পাইনি, তবে কি হবে বলা যাচ্ছে না। কারণ অন্যদিনের তুলনায় আজ মানুষের চাপ বেশি। শনিবার (১১ আগস্ট) দেওয়া হচ্ছে ২০ আগস্টের টিকিট। আর রোববার (১২ আগস্ট) দেওয়া হবে ২১ আগস্টের টিকিট।
একইভাবে আগামী ১৫ আগস্ট থেকে ফিরতি যাত্রীদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আর ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ আগস্ট যথাক্রমে পাওয়া যাবে ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ আগস্টের টিকিট।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, আগামী ১৭ আগস্ট থেকে এবারের ঈদ যাত্রা শুরু হবে। ২০ আগস্ট সারাদেশের উদ্দেশে মোট ৬৮টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৩৫টি আন্তঃনগর, বাকিগুলো মেইল ও লোকাল সার্ভিস।
তিনি বলেন, আজ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে। সবাই টিকিট পাবেন কিনা বলা যাচ্ছে না। তবে টিকিট যতোক্ষণ আছে ততোক্ষণ দেওয়া হবে। ওইদিনের জন্য আজ মোট ২৬ হাজার ৮৯৫টি টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
ইএআর/জেডএস