শুক্রবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড ঘুরে জানা গেছে, বেশিরভাগ পরিবহনের এই দুইদিনের টিকিট শেষ। কিছু পরিবহনের টিকিট থাকলেও তা শেষের সারিতে।
সোহাগ পরিহনের কাউন্টার মাস্টার মো. আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ১৯ ও ২০ আগস্টের টিকিট শেষ। ২১ আগস্টেও কেবল বিকেলের কোচের টিকিট আছে।
এই অবস্থায় যাত্রীদের অনেককেই দেখা গেছে ২১ আগস্টের টিকিটের দিকেই ছুটতে। অনেকেই চাচ্ছেন ঈদটা অন্তত বাড়িতেই কাটাতে। যে কারণে শেষ মুহূর্তের ঝুঁকি নিচ্ছেন তারা।
মোটামুটি বেশ আগেই টিকিট শেষ হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে অনলাইনে টিকিট বিক্রি। এতে মানুষের কষ্টও যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে সময়ের অপচয়ও।
ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকিটের জন্য তাই কাউন্টারগুলোতে এখন তেমন ভিড় নেই। বেশিরভাগই এখন টিকিট নিচ্ছেন ১৭ আগস্টের আগের তারিখে।
আবু তোয়েব যশোরের টিকিট কেটেছেন ১৪ আগস্টের। বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে আগেই ছুটি নিয়েছি। জাস্ট পরেরদিন চলে আসবো। কেননা, ঈদের দুই-একদিন আগের টিকিট পাওয়া একটু ঝক্কির।
আকবর হোসেন যাবেন খুলনায়। ১৭ আগস্টের টিকিট নিলেন। তার কপালে মিলেছে পেছনের দিকের টিকিট। তারপরও খুশির শেষ নেই।
বেসরকারি একটি কোম্পানির এ চাকরিজীবী বলেন, অফিসে ম্যানেজ করে একটু আগেই যাচ্ছি।
এদিকে প্রতিটি গন্তব্যের ভাড়াই আগের চেয়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করছেন না। টিকিট পেয়ে বরং খুশিমনেই ফিরে যাচ্ছেন।
সোহাগ পরিহনের কাউন্টার মাস্টার আসিফ জানান, যে কয়টা এখন বাড়তি নেওয়া হচ্ছে এটা সরকার নির্ধারিত ভাড়াই। আগে একটু কম নেওয়া হতো। এ নিয়ে যাত্রীদেরও কোনো অভিযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
ইইউডি/আরআর