ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদুল আজহায় উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে ৪টি বিশেষ ট্রেন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
ঈদুল আজহায় উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে ৪টি বিশেষ ট্রেন ছবি: প্রতীকী

ঈশ্বরদী, পাবনা: পবিত্র ঈদুল আজহায় উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে চারটি রুটের ‘ঈদ স্পেশাল’ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টায় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহী-ঢাকা-রাজাশাহী, দিনাজপুর-ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-খুলনা, লালমনিরহাট-ঢাকা-লামমনিহাট এই চারটি রুটে ট্রেনগুলো চলাচল করবে।

ঈদের স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঈদের পরে সাতদিন চলবে ট্রেনগুলো। এসব ট্রেনের ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে নিজ নিজ স্টেশনে।

তিনি আরো জানান, আগামী শুক্রবার (১৭ আগস্ট) থেকে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত সকল আন্তঃনগর ও কমিউটার ট্রেনের কোনো অফ-ডে থাকবে না। শুধুমাত্র ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর, কমিউটার ও মেইল এক্সপ্রেস, লোকাল ট্রেন চলবে না। ঈদের পরদিন সকল ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়াও আগের সব ট্রেন নিয়মিত সময়সূচিতেই চলবে।

>>আরও পড়ুন...খুলনা-ঢাকা রুটে ঈদে বিশেষ ট্রেন একদিন

ঢাকা-খুলনা রুটে ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি শুধুমাত্র একদিন মৈত্রীর রেক দিয়ে ২১ আগস্ট চালানো হবে। ট্রেনটির আসন সংখ্যা ৫৯২টি। এরমধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থ ছয়টি (সিট-৯), প্রথম শ্রেণি বার্থ ১০টি (সিট-১৯টি), শোভন চেয়ার ১০০টি ও শোভন সাধারণ ৪৭৬টি আসন রয়েছে।  

পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী ‘ঈদ স্পেশাল’ ট্রেনটি ১৮-২০ আগস্ট মাত্র তিনদিন এবং ঈদের পরে দ্বিতীয় দিন থেকে ২৪-৩০ আগস্ট এই সাতদিন চলবে। ১৫টি কোচ নিয়ে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী ট্রেনটি চলবে। ট্রেনটি দুপুর দেড়টায় রাজশাহী ছেড়ে  ঢাকা পৌঁছাবে ৮টা ২০ মিনিটে। ঢাকা ছাড়বে ৯টা ২৫ মিনিটে রাজশাহী পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৩টায়। বিরতির স্টেশনগুলো হলো- রাজশাহী, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী বাইপাস, চাটমোহর, বড়ালব্রিজ, উল্লাপাড়া, শহীদ মনসুর আলী, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব, টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর, ঢাকা বিমানমন্দর।

দিনাজপুর ‘ঈদ স্পেশাল’ ট্রেনটি ১৮-২০ আগস্ট তিনদিন এবং ঈদের পর দ্বিতীয় দিন হতে ২৪-৩০ আগস্ট সাতদিন চলবে। ১৩টি কোচ নিয়ে দিনাজপুর-ঢাকা-দিনাজপুর চলবে ট্রেনটি। ট্রেনটি দিনাজপুর ছাড়বে ১টা ১৫ মিনিটে, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১০টা ০৫ মিনিটে এরপর ঢাকা ছাড়বে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে, দিনাজপুর পৌঁছাবে সকাল ০৭টা ৪০ মিনিটে। বিরতির স্টেশনগুলো হলো- পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, বিরামপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, মাধনগর, নাটোর, বড়ালব্রিজ, উল্লাপাড়া, শহীদ মনসুর আলী, বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব), টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর, ঢাকা বিমানবন্দর।

লালমনিরহাট ‘ঈদ স্পেশাল’ ট্রেনটি ১৮-২১ আগস্ট চারদিন এবং ঈদের পরে দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২৪-৩০ আগস্ট সাতদিন চলবে। ১৪টি কোচ নিয়ে লালমনিরহাট-ঢাকা- লালমনিহাট ট্রেনটি চলবে। লালমনিরহাট ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়, ঢাকা পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এরপর ঢাকা ছাড়বে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে, লালমনিরহাট পৌঁছাবে রাত ৭টায়। বিরতির স্টেশনগুলো হলো- কাউনিয়া, পীরগাছা, বামনডাঙ্গা, গাইবান্ধা, বোনারপাড়া, বগুড়া, সান্তাহার, টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর, ঢাকা বিমানবন্দর।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২১-২৩ আগস্ট ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ থাকায় ওই এক্সপ্রেসের ১০টি কোচ নিয়ে ঢাকা-খুলনা রুটে ২১ আগস্ট একদিন ট্রেনটি চলবে। ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে রাত ১২টা ০৫ মিনিটে, খুলনা পৌঁছাবে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে। বিরতির স্টেশনগুলো হলো- ঈশ্বরদী জংশন, চুয়াডাঙ্গা, যশোর।

পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদের ১০দিন আগে এবং ঈদের ১০দিন পর পর্যন্ত ট্রেনে সেলুন সংযোজন থাকবে না। শুধুমাত্র ঈদের দিন কোনো ট্রেন চলবে না। ঈদের পর সকল আন্তঃনগর ট্রেনের অফ-ডে যথারীতি বলবৎ থাকবে। তবে ঢাকাগামী প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ার করার জন্য ২৪-৩০ আগস্ট ঢাকা অভিমুখী কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের অফ-ডে নেই।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিরাপদে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য ‘ঈদ স্পেশাল’ এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা। ঈদের তিনদিন আগে এবং ঈদের পর আরও সাতদিন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় চারটি রুটে ‘ঈদ স্পেশাল’ ট্রেন চলবে। যেন ঈদের পরেও কর্মক্ষেত্রে ফিরতে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হয়।

অন্যদিকে, যাত্রী হয়রানি বন্ধে পাকশী বিভাগীয় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে বিভিন্ন রুটের ট্রেনে তাদের পাঠানো হবে। রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী (আরএনবি) ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা মাঠে সক্রিয় থাকবেন। ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে কালোবাজারি যেন না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।