ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর রেখে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৮
সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর রেখে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া অনুমোদন মন্ত্রিসভার বৈঠক

ঢাকা: সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এখন আইনটি সংসদের আগামী অধিবেশনে তোলা হবে পাসের জন্য৷

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম  নতুন এ  আইনের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচবছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। অর্থদণ্ডের পরিমাণ আদালত নির্ধারণ করবেন। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ আহত হলে কিংবা প্রাণহানি ঘটলে এই আইনে মামলা হবে।
 
‘হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি চালানো হয়েছে বলে মনে হলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ৩০২ ধারায় মামলা হবে। তদন্ত করে ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে দুর্ঘটনার প্রকৃতি কী ছিল। ৩০২ ধারায় মামলা হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। আর যদি তদন্তে মনে হয় হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, বেপরোয়া চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাহলে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৩ ধারায় মামলা হবে। এই ধারায় সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। ’

সচিব বলেন, আইনের ধারা ৬ এ বলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বয়স হতে হবে ১৮ বছর। পেশাদার হলে বয়স হতে হবে ২১ বছর। এছাড়া লাইসেন্সধারী হতে চাইলে ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। আইনের ১১ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে একজন চালকের লাইসেন্সের বিপরীতে ১২টি পয়েন্ট থাকবে। একবার অপরাধ করলে একটি করে পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হলে তার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। ১২ ধারায় বলা আছে, লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তি শারীরিকভাবে অক্ষম, অপ্রকৃতিস্থ, মদ্যপ হলে তার লাইসেন্স প্রত্যাহার-স্থগিত করা যাবে।

এছাড়া খসড়া সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারকে সহায়তা দিতে  একটি তহবিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।  

তিনি বলেন, যদি কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায় তবে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কেউ এই অপরাধ করলে তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে ৩ মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

মোহাম্মাদ শফিউল আলম বলেন, কেউ যদি রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি চালান তাহলে তাকে ৬ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। ফিটনেস না থাকা মোটরযান চালালে শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ একলাখ টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে এ আইনে। এ শাস্তি পাবে গাড়ির মালিক।  

গাড়ির চেচিস বা আকার-আকৃতির পরির্বতন করলে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড কিংবা  অথবা উভয দণ্ডে দণ্ডিত হবে। তবে কারাদণ্ড কখনই এক বছরের নিচে দেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৮/আপ: ১৬২৬ ঘণ্টা
এসকে/আরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।