ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মগবাজারে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, বাসে আগুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৮
মগবাজারে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, বাসে আগুন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারে একটি বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে নিহত হয়েছেন। তৎক্ষণাৎ চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। একইসঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বাসটি।

শুক্রবার (৩ আগস্ট) জুমার নামাজের পর মগবাজারের ওয়ারলেস গেট সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম সাইফুল ইসলাম রানা (২৩)।

তিনি বরিশাল বানাড়িপাড়া উপজেলার তেঁতলা গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে। থাকছিলেন খিলগাঁওয়ের গোড়ানের হাড়ভাঙা এলাকায়।  

রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, এসপি গোল্ডেন লাইন নামে একটি পরিবহনের ওই বাস মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার দিয়ে নেমে মালিবাগের দিকে যাচ্ছিল। তখন সেটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে আরোহী রানা ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম হন। নিহত মোটরসাইকেল আরোহী সাইফুল ইসলাম রানাস্থানীয় লোকজন কেবল জুমার নামাজ শেষ করেছিলেন। তখনই তারা চালককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। আর আহত রানাকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে নিকটস্থ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু বেলা সোয়া ২টার দিকে চিকিৎসক রানাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ডিউটি অপারেটর জীবন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে দু’টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। সাইফুল ইসলাম রানারমনা থানার আরেক এসআই মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ধাওয়া করে ইমরান সরদার (২৫) নামে ওই বাসচালককে ধরে মারধর করে, এরপর পু্লিশে সোপর্দ করে। তার বাড়ি পিরোজপুরের কুমুড়িয়ায়। গাড়ি নিয়ে ওই চালক কল্যাণপুর থেকে আরামবাগ যাচ্ছিলেন

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার কবলে পড়া মোটরসাইকেলটি পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ঢামেকে রয়েছে।

খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে ছুটে এসেছেন রানার স্বজনরা। তার খালা রোকসানা বেগম বাংলানিউজকে জানান, রানা মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে চাকরিরত ছিলেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।