তবে এরমধ্যে স্থানীয় এক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শিক্ষার্থীদের ওপর দিয়ে রিকশা নিয়ে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার ও কুকুরের বাচ্চা’ বলে গালিগালাজ শুরু করেন ওই নেতা।
বুধবার (০১ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে চাষাঢ়া রাইফেলস ক্লাবের উল্টোপাশে এ ঘটনা ঘটে। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা হলেন জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি গোপীনাথ দাস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মারতে তেড়ে যান তিনি। পরে শিক্ষার্থীরা তার পর চড়াও হয়। কিছু শিক্ষার্থী তাকে সেখান থেকে তাকে পার করে দেন।
পরবর্তীতে কিছুক্ষণ পর আবারও তিনি শিক্ষার্থীদের গালি দিতে দিতে তেড়ে আসেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তার দিকে তেড়ে গেলে তিনি জিয়া হলের পাশের একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন।
পরে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ওই আওয়ামী লীগ নেতা দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন। একপর্যায়ে কানে ধরে হাত জোড় করে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। তখন শিক্ষার্থীরা বলতে থাকেন- ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
এ কথা শুনে শিক্ষার্থীদের আবারো ধমক দিয়ে গোপীনাথ বলেন, ‘আমিই জাস্টিস, তোরা আবার কিসের জাস্টিস খুঁজস। ’
তার এ কথায় আবারো উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে লাঞ্ছিত করতে করতে যান। তখন তিনি প্রথমে একটি ফার্মেসি ও পরে ল্যাবএইড হাসপাতালে গিয়ে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
এমএ/