সোমবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত খলিল গাজী কালিগঞ্জের বাগবাটি গ্রামের আব্দুল্লাহ গাজীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিগঞ্জের বাগবাটি গ্রামের আব্দুল্লাহ গাজীর ছেলে খলিল গাজীর সঙ্গে কাশিবাটি গ্রামের সৈয়দ আলী মোড়লের মেয়ে রেহেনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় খলিল গাজীকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও সাইকেল যৌতুক দেয় রেহেনার পরিবার। কিছুদিনের মধ্যে তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ে হওয়ায় খলিল গাজী রেহেনার বাবাকে ফের যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। ওই সময় তাকে আরও ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়।
এর কিছুদিন পর খলিল গাজী ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে রেহেনার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। পরে রেহেনা খাতুন বাদী হয়ে আদালতে খলিল গাজী ও তার বাবা-মার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে খলিল গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। তবে, তার বাবা-মার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এনটি