সোমবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের আব্দুল হক শিকদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন গোলাম কিবরিয়া। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার শালিসও হয়েছে। শালিসে গোলাম কিবরিয়া তাকে আর উত্ত্যক্ত করবে না মর্মে মুচলেকাও দেয়।
এরপর ২০১০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রী স্কুল থেকে ফেরার পথে গোলাম কিবরিয়া ও তার সহযোগী একই গ্রামের মিলন ঢালী তাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। এসময় ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে গোলাম কিবরিয়া ও মিলন ঢালী তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুইজনের নামে শ্যামনগর থানায় অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর তৎকালীন শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন।
মামলায় সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুপুরে আদালত এ রায় দেন। তবে, মিলন ঢালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এনটি