পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ দেয়। এবার তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুলাই) বিকেলে সরকারি বাসভবন ‘গণভবনে’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ তুলে দেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ভালোবেসে ঢাকায় থেকে যান এই বিদেশি। তার প্রত্যাশা ছিল, এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, গণভবনে এক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ নাগরিক জুলিয়ানের হাতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে অবস্থানকালীন জুলিয়ান ফ্রান্সিসের সেবামূলক কাজের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।
প্রতিক্রিয়ায় জুলিয়ান বলেন, এটা আমার জন্য একটি বিরল সম্মান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ১৯৬৮ সাল থেকে ভারতের বিহারে উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের একটি প্রকল্পে কাজ করতেন ফ্রান্সিস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশ সীমান্তের রাজ্যগুলোতে শরণার্থীরা আশ্রয় নেয়; তখন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরে কাজের জন্য ২০১২ সালে বিদেশি বন্ধুর সম্মাননা দেওয়া হয় জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সমর্থনে এবং পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় জুলিয়ান ফ্রান্সিস এ দেশে বাস করছেন ১৯৯৮ সাল থেকে।
এর আগে গত মার্চ মাসে ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এমইউএম/এমএ/