তবে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য সুন্দরবন সংলগ্ন সমুদ্রে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী পৃথক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে, এ ঘটনার তিনদিন পার হয়ে গেলেও নিখোঁজ জেলেরা সমুদ্র থেকে ফিরে না আসায় স্বজনদের মধ্যে চলছে আহাজারি।
আরও পড়ুন...বঙ্গোপসাগরে ১৯ জেলে নিয়ে ফের ট্রলার ডুবি
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২১ জুলাই) সকালে গভীর সমুদ্রের নারিকেলবাড়িয়া ও ফেয়ারওয়ে বয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরা ট্রলার ডুবে যায়। এরপর দিন এফবি রেবা ট্রলারের ১৯, অর্ক ট্রলারের ১৯, তারেক-১ ট্রলারের ১৬, জুয়েল ট্রলারের ১৪, ভাই ভাই ট্রলারের ১০, শাহজালাল ট্রলারের-১১ ও আল-আবদুল্লাহ ট্রলারের ১৯ জেলে উদ্ধার করা হয়। একইদিন ডুবে যাওয়া এফবি শাহজালাল, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি জুয়েল, এফবি ভাই ভাই, এফবি তারেক, এফবি মরিয়ম ও এফবি মোহাম্মদ হোসেনের অন্তত ৯২ জন জেলের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল মাস্টার বাংলানিউজকে বলেন, নিখোঁজ জেলেদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন আমাদের কাছে মোবাইল ফোনে খোঁজ নিচ্ছেন। আবার অনেকেই আমাদের কাছে এসে কান্নাকাটি করছেন।
কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানের জন্য আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এনটি