রোববার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দফতরে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে রুশনারা আলী বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বৃটিশ কোম্পানিগুলো কাজ করতে চায়। বৃটিশ পেট্রোলিয়ামও (বিপি) বাংলাদেশে কাজ করতে চাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে এগুলোতে উভয় দেশ উপকৃত হবে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বৃটিশ কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ কম। ভূগর্ভস্থ তার বা উপকেন্দ্র স্থাপনে বা সামগ্রিক পরিকল্পনায় বৃটিশ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পরামর্শক দিয়ে বৃটেন সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের আধুনিকায়নেও আমরা সহযোগিতা পেতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন হাবে (পায়রা হাব, মাতারবাড়ি হাব ইত্যাদি) পার্টনার প্রয়োজন। বৃটেনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে। সম্ভাবনাময় সব বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাবো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে অবস্থিত বৃটিশ হাই-কমিশনার মিস অ্যালিসন ব্ল্যাক ও বৃটিশ হাইকমিশনের ব্যবসা ও বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান বেনজামিন কাটমোর।
এরআগে শনিবার (২১ জুলাই) রাতে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পাঁচদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন রুশনারা আলী।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের রেল কোম্পানিগুলোর একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছিলো।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য রুশনারা আলী ২০১২ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত হিসেবে নিয়োগ পান। গত বছর তিনি টানা তৃতীয় মেয়াদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
ওএইচ/