রোববার (২২ জুলাই) দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
পরে মোক্তাদির রহমান ওরফে একরাম (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার মোক্তাদির শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের মৃত শামসুল হকের ভাড়াটিয়া মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে।
এর আগে শনিবার (২১ জুলাই) দিনগত রাতে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের মৃত শামসুল হকের ভাড়াটিয়া বাসায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের ডন চেম্বার মসজিদ এলাকার ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী শহরের কালিরবাজার এলাকার একটি কারখানায় চাকরি করে। আগের একটি কারখানার কর্মরত লাকি বাজার এলাকার আরিফ, মোক্তাদির রহমান ওরফে একরাম, মিলন, হৃদয়সহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। আর সেই গার্মেন্টস থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর তাদের সঙ্গে সম্পর্কসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় বর্তমান কর্মস্থল ওই কারখানায় ডিউটি শেষে নবীগঞ্জ গুদারাঘাটে বেড়াতে যায়। তখন দেখা হয় পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে। তারা ওই তরুণীকে দেখে এক বন্ধুর বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে তরুণী রাজি না হলেও পরে অনুরোধ করায় অনুষ্ঠানে যাওয়ার রাজি হয়। তখন তরুণীকে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের মৃত শামসুল হকের ভাড়াটিয়া বাড়ি মোক্তাদির রহমান ওরফে একরামের বাসায় নিয়ে যায়। সেই বাসায় গিয়ে দেখে কোনো জন্মদিনের কোনো অনুষ্ঠান নেই। পরে তরুণীকে আরিফ, মোক্তাদির, মিলন পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান গণধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে মামলা দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয়ে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এএটি