ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গণসংযোগে বিস্ফোরণে জড়িত মন্টু: আরএমপি কমিশনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
গণসংযোগে বিস্ফোরণে জড়িত মন্টু: আরএমপি কমিশনার

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের গণসংযোগ কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম মতিউর রহমান মন্টুর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। 

মন্টু এ কথা নিজেই বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক নেতা তাইফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনালাপে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।  

রোববার (২২ জুলাই) আরএমপি সদর দফতরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

 

এ সময় তিনি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার মন্টুর সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলামের ফোনালাপের রেকর্ড শোনান।

সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, রাজশাহীর সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ও ভোটারদের সহমর্মিতা পাওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নির্বাচনী ওই গণসংযোগে নিজেরাই বোমা হামলা চালায়।

তিনি বলেন, গত ১৭ জুলাই বোমা হামলার দুইদিন পর ১৯ জুলাই বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্টু কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দফতার সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে কথা বলেন। যাতে তিনি এ কথা স্বীকার করেন এবং দুইজন হামলাকারীর নাম উল্লেখ করেন। তাদের কথোপকথন পুলিশের হাতে আসলে মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।

হাফিজ আকতার বলেন, ককটেল হামলার বিষয়ে আমরা রাজশাহী মহানগর পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চৌকস অফিসারদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে। ঘটনায় সম্পৃক্ত সন্দেহে তখনই পুলিশ একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই।  

এক পর্যায়ে তদন্তকারী টিম মামলার স্বার্থেই ফোনালাপের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পায়। যেখানে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মতিউর রহমান মন্টু বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলামের সঙ্গে ককটেল হামলায় নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তাই এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য আসন্ন ৩০ তারিখের (৩০ জুলাই) নির্বাচন। এখানে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, যেই করুক, যে কোনো লোকই করুক, আমরা তা প্রতিহত করবো। আগামী ৩০ তারিখে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আমরা উপহার দেবো। বিএনপির মেয়র প্রার্থী বুলবুলের পক্ষে গণসংযোগকালে ককটেল হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত আছে তাদের সবাইকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

হাফিজ আকতার বলেন, প্রকৃত ঘটনা জানতে আমরা একেএম মতিউর রহমান মন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত সব ব্যক্তি, যারা পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা এবং সহযোগীদের গ্রেফতারপূর্বক প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় আনতে তৎপর রয়েছি। আমাদের কাছে সে অডিও টেপটি আছে। যারাই জড়িত আছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।

এর আগে শনিবার (২১ জুলাই) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও বোয়ালিয়া থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মন্টুকে গ্রেফতার করে।  

তখন রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে তার বিরুদ্ধে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। তবে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতের নির্দেশে পরে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

এর আগেও এ মামলায় একজন গ্রেফতার রয়েছে তার বিরুদ্ধেও পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এসএস/এইচএ/
আরও পড়ুন>>
** রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।