শনিবার (২১ জুলাই) উপজেলা মৎস্য বিভাগ এ বাঁধ অপসারণ ও ধ্বংস করার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। নেতৃত্ব দেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিকুর রহমান।
মহম্মদপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মীর লিয়াকত আলী বাংলানিউজকে জানান, মহম্মদপুরে মধুমতি নদী থেকে বড়রিয়া, নিখড়হাটা হয়ে রাজাপুর রাহাতপুর পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এমডি-২ খালটি মাগুরা সদরের নবগঙ্গা নদীতে মিলেছে।
১২ কিলোমিটার লম্বা এ খালের সঙ্গে ওই এলাকার বিল ঝলমল, নালিয়ার বিল, টেটাদোহার বিল, পারুয়ার বিল, হাবুরিয়ার বিলসহ অন্তত ১৪টি বিলের সংযোগ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি খালটির রড়রিয়া এলাকায় ৩টি, রাজাপুর এলাকায় ২টি ও নিখড়হাটা এলাকায় ১টি স্থানে অবৈধ আড়বাঁধ স্থাপন করে দেশি প্রজাতির ছোট-বড় মাছসহ সব ধরনের মাছ মেরে ফেলছিল অবৈধ দখলদাররা।
বাঁশের বানা, পলিথিন ও মশারি জাল দিয়ে তৈরি এসব বাঁধের কারণে মাছের ডিম পর্যন্ত ধরা পরে ও মারা যায়। অন্যদিকে এ আড়বাঁধের ফলে খালটির নব্যতাও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলো।
ইউএনও সাদিকুর রহমানের নেতৃত্বে বাঁধ অপসারণ অভিযান চালিয়ে ৬টি বাঁধই ধ্বংস করে দেয়া হয়। তবে এ সময় কোনো বাঁধের মালিককেই ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন নদী ও খালের নব্যতা রক্ষায় প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান মৎস্য কর্মকর্তা মীর লিয়াকত আলী।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
এসআরএস