মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ডিঙ্গাভাঙ্গা এলাকার হাবিব মাষ্টার ফিশিং নেট নামে একটি কারখানায় শুক্রবার (২০ জুলাই) রাত ১০টা থেকে র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মহিতুল ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
শনিবার (২১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে অভিযান শেষ হয়।
মহিতুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিঙ্গাভাঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সচল ফ্যাক্টরির ভিতরে অভিযান চালিয়ে ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং তৈরির অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। ফ্যাক্টরির বিভিন্ন সেকশনে বিরতিহীনভাবে ১৭ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা শেষে সন্ধ্যায় নদীর তীরে এনে জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনায় ফ্যাক্টরির মালিক পলাতক আছেন।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, দেশ মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন ১৯৫০ এর ৪(ক)১ ধারায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তাদের বৈদ্যুতিক সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া মনোফিলামেন্ট থেকে মাল্টিফিলামেন্ট মেশিনে রূপান্তর না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা শেষে ১০ জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফ্যাক্টরির অপারেশন ম্যানেজার কামরুল হাসান (৪০), ইলেকট্রিশিয়ান হারুন (৪৫), ম্যাকানিক জুয়েল মাহমুদ (২৫), সুপারভাইজার বাবু দেওয়ান (৩৮), কর্মচারী সিদ্দিক মিয়া (৬৫), আব্দুল মালেক (২০), কামাল হোসেন (১৮), মনির হোসেন (২০), কাদের (১৮), এবং নুরু ইসলাম (২০)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নৃপেন্দ নাথ বিশ্বাস, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এবং র্যাব-১১ এর শ্রীনগর ভাগ্যকূল ক্যাম্পের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
জিপি