ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদক নির্মূলে রাজধানীতে সাইকেল শোভাযাত্রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
মাদক নির্মূলে রাজধানীতে সাইকেল শোভাযাত্রা মাদক নিমুর্লে প্রত্যয়ে রাজধানীতে সাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মাদকের বিরুদ্ধে সাইকেল শোভাযাত্রা করেছে এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ। যুব সমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষা ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য মাদক নির্মূলে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি।

শুক্রবার (২০ জুলাই) ‘মাদককে না বলুন’ প্রতিপাদ্যে তিন শতাধিক সাইকেলিস্ট জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে তাদের র‌্যালি শেষ করেন।  

র‌্যালি শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এ‌পেক্সের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন সেবুল বলেন, সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে যে বৃহৎ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা দেশের জন্য একটি ভালো কাজ। দেশ থেকে পুরোপুরি মাদক নির্মূল করতে না পারলে দেশ ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছাবে। তাই দেশ, সমাজ ও যুবদের রক্ষা করার জন্য মাদক নির্মূল আবশ্যক।

এ সময় যুব সমাজকে মাদকের থাবা থেকে রক্ষায় ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। এগুলো হলো- নিরাপরাধী কাউকে মাদকের অভিযোগে হেনস্তা না করা, অবৈধ মাদক বহনকারী ও সংরক্ষককে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা, বাবা-মাসহ অভিভাবকদের সতর্ক করা, মাদক আইনের শক্ত প্রয়োগ ও প্রয়োজনে যুগোপযোগী করা, মাদকের কারণে কিভাবে পরিবার ও দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে ছোট ছোট ভিডিও তৈরি ও তথ্য মন্ত্রণালয় ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাধ্যমে তা প্রচারের ব্যবস্থা করা।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ডেইজি সারোয়ার।  

সংবাদ সম্মেলনে এপেক্স বাংলাদেশের সহ-সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী, বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফউদ্দিন চুন্নু, এপেক্স ক্লাবের সদ্য অতীত জাতীয় সভাপতি এপে-খুরশিদ-উল-আলম অরুণ, দূরন্ত বাই সাইকেলের ব্র্যান্ড ম্যানেজার রকিবুল আহসান, এপেক্স ক্লাবের জাতীয় কোষাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দূরন্ত বাইসাইকেলের সহযোগিতায় মাদকবিরোধী এ র‌্যালি খামারবাড়ী, বিজয় সরণি, সাতরাস্তা, মগবাজার, কাকরাইল মোড়, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।  

আয়োজনের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এপেশিয়ান এজাজ মাহমুদ রনি ও এপেশিয়ান শাহাদত হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা; জুলাই ২১, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।