টুটুল বেনাপোল পৌরসভার বড় আঁচড়া গ্রামের আবিদুর রহমানের ছেলে। নাভরণ ডিগ্রি কলেজের বিএ অনার্সের ছাত্র।
শুক্রবার (২০ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ১৫ জুলাই (রোববার) সন্ধ্যায় বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য বেনাপোল গাতিপাড়া সড়কে বাবুর মার্কেটে ডিসের সংযোগ লাগানোর সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গুরুতর আহত হন। এ নিয়ে গত এক বছরে এ মার্কেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য টুটুল ও তার ভাই বাবুর মার্কেটের ছাদে ডিস-লাইনের সংযোগ ঠিক করছিল। এসময় ছাদের উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে টুটুল গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর খবরে স্থানীয়রা ক্ষোভপ্রকাশ করে জানান, গত বছর এ মার্কেটের নির্মাণ করার সময় দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর মৃত্যু হলো কলেজছাত্রের। দুই শ্রমিক মৃত্যুর পর যদি মার্কেট কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের তারে কাভার লাগাতেন, তাহলে হয়তো এ দুর্ঘটনা না ঘটতেও পাড়তো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এজেডএইচ/ওএইচ/