দুপুরের আদালত চত্বর। কোথাও ছিটে ফোটা একটু বাতাসও নেই।
গাছগুলোর গোঁড়ার চারিদিক ইট দিয়ে ঘেরা। এরই চারপাশে বসে সময় কাটান বিচারপ্রার্থী মানুষেরা।
আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসা আব্দুস সালাম বলেন, সাক্ষ্য দিতে সকালে এসে শুনি কোর্ট উঠবে দুপুরের পর। তাই এখানে বসি আছি। বসার আর কোনো জায়গা নেই। মামলায় হাজিরা দিতে আসা এক মামলার আসামি শাহাদাত মিয়া বলেন, গাছগুলা আছে বইলাইতো একটু জিরাইতে পারছি। নইলেতো হাহাকার লাইগ্যা যাইতো। বড় কোনো গাছ এখন আর লাগানো হয় না। আমাদের জন্যই এ গাছগুলা বাঁচাইয়া রাখা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বট, পাকুড়, অশ্বত্থ, উইপিং ফিগ ছায়া প্রদানকারী বৃক্ষ। জনবহুল স্থানগুলোতে একসময় এসব গাছ লাগানো হতো। এসব গাছ বিশালাকৃতির হওয়ায় বেশি স্থান জুড়ে ছাড়া দেয়। তাছাড়া এসব গাছের ছায়াও শীতল। এসব গাছ থেকে পাখিরা আহার ও আশ্রয় পায়, তারা গাছে বাসা বাঁধে। বিভিন্ন প্রাণী এগুলোর ফল খায়। এসব গাছ এখন আর তেমন লাগানো হয় না। যেগুলো আছে মানুষের প্রয়োজনেই সেগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২১৮
এমআই/এনএইচটি