ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বট-পাকুড়ে জুড়ায় বিচারপ্রার্থীদের প্রাণ

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
বট-পাকুড়ে জুড়ায় বিচারপ্রার্থীদের প্রাণ গাছের ছায়ায় বসে আছেন বিচারপ্রার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বর্ষার ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ বিচারপ্রার্থীদের প্রাণ। মোবাইল স্ক্রিনে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও ভ্যাপসা আবহাওয়ার কারণে তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে আরও ৮-১০ ডিগ্রি বেশি।

দুপুরের আদালত চত্বর। কোথাও ছিটে ফোটা একটু বাতাসও নেই।

কেমন যেন গুমোট হয়ে আছে পরিবেশ। পুরাতন জেলা জজ আদালত ভবন ও মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা।                                         ছবি: বাংলানিউজপুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় অবস্থিত পুরাতন জেলা জজ আদালত ভবন ও মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের মাঝে রয়েছে একটি বড় ফাঁকা জায়গা। এর আকাশের পুরোটাই ঢেকে আছে বট, পাকুড়, অশ্বত্থ, উইপিং ফিগ (Ficus Benjamina), কাঁঠাল, সেগুনসহ ১২-১৫ প্রজাতির গোটা বিশেক গাছে। প্রতিদিন এসব গাছের ছায়ায় বসে প্রাণ জুড়ায় শত শত বিচারপ্রার্থী নারী ও পুরুষ। নারী ও শিশু মামলায় বিচারপ্রার্থীদের বসার জন্য আদালতের রেবতী ম্যানসনের ভেতরে ছোট একটি বসার জায়গা থাকলেও সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের জন্য বসার কোন ব্যবস্থা নেই। বট, পাকুড় আর অশ্বত্থ গাছের ছায়াই তাদের একমাত্র ভরসা।

গাছগুলোর গোঁড়ার চারিদিক ইট দিয়ে ঘেরা। এরই চারপাশে বসে সময় কাটান বিচারপ্রার্থী মানুষেরা।

আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসা আব্দুস সালাম বলেন, সাক্ষ্য দিতে সকালে এসে শুনি কোর্ট উঠবে দুপুরের পর। তাই এখানে বসি আছি। বসার আর কোনো জায়গা নেই। উইপিং ফিগ ও বট গাছ। ছবি: বাংলানিউজমামলায় হাজিরা দিতে আসা এক মামলার আসামি শাহাদাত মিয়া বলেন, গাছগুলা আছে বইলাইতো একটু জিরাইতে পারছি। নইলেতো হাহাকার লাইগ্যা যাইতো। বড় কোনো গাছ এখন আর লাগানো হয় না। আমাদের জন্যই এ গাছগুলা বাঁচাইয়া রাখা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বট, পাকুড়, অশ্বত্থ, উইপিং ফিগ ছায়া প্রদানকারী বৃক্ষ। জনবহুল স্থানগুলোতে একসময় এসব গাছ লাগানো হতো। এসব গাছ বিশালাকৃতির হওয়ায় বেশি স্থান জুড়ে ছাড়া দেয়। তাছাড়া এসব গাছের ছায়াও শীতল। এসব গাছ থেকে পাখিরা আহার ও আশ্রয় পায়, তারা গাছে বাসা বাঁধে। বিভিন্ন প্রাণী এগুলোর ফল খায়। এসব গাছ এখন আর তেমন লাগানো হয় না। যেগুলো আছে মানুষের প্রয়োজনেই সেগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২১৮
এমআই/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।