ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোটা পর্যালোচনা কমিটির সময় বাড়লো ৩ মাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
কোটা পর্যালোচনা কমিটির সময় বাড়লো ৩ মাস

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার সময় তিন মাস বৃদ্ধি করেছে সরকার।
 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবকে প্রধান করে গত ২ জুলাই গঠিত কমিটির মেয়াদ আরো ৯০ কার্যদিবস বৃদ্ধি করে বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
 
সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
 
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা/সংস্কার/বাতিলের লক্ষ্যে সাত সদস্যের ওই কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। বৃহস্পতিবারই কমিটির ১৫ কার্যদিবসের মেয়াদ শেষ হয়েছে।  
 
সময় বাড়িয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, গঠিত কমিটির মেয়াদ ১৫ কার্যদিবসের অতিরিক্ত ৯০ কার্যদিবস বর্ধিত করা হলো।   
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব ছাড়াও কমিটিতে জনপ্রশাসন, অর্থ, সরকারি কর্ম কমিশন সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবকে নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছিলো।
 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি)-কে এ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে যে কেউকে কো-আপ্ট করতে পারবে বলে আগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
 
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, আধাসরকারি, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।
 
পরে বিভিন্ন সময়ে এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করেছে সরকার।
 
বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, পশ্চাদপদ জেলাগুলোর জন্য  ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংরক্ষিত চালু আছে। সব মিলিয়ে শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা পদ্ধতি রয়েছে।
 
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষ কোটা বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছে।  
 
গত ১১ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আ. ক. ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, আদালতের সিদ্ধান্তে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের আদেশ অগ্রাহ্য করে ভিন্নতর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি করা হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮ 
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।