বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ ৩টি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, হায়দারাবাদ এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে কামাল হোসেন (৪০), তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) ও মেয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী সানজিদা কামাল ওরফে রিমি (১৮)।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহত কামাল হোসেনের ভাইয়ের স্ত্রী মাহমুদা বেগম তার মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় কামাল হোসেনের বাড়ির বাইরের লাইট জ্বলছে দেখে ওই ঘরের দিকে এগিয়ে যান তিনি।
এক পর্যায়ে দরজার ফাঁক দিয়ে কামালের ঝুলন্ত দেহ দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠেন তিনি। চিৎকার শুনে তার স্বজনরা এগিয়ে আসেন এবং বারান্দার গ্রিলের লক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে ঘরের মেঝেতে নাজমা বেগম ও সানজিদার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। একই ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল কামাল হোসেনের দেহ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ৩টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কামাল হোসেন নিজেই তার স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
আরএস/এনএইচটি