দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইনে আসা (১০৬) এ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুদকের উপ-পরিচালক শেখ ফানাফিল্যা এবং সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের একটি টিম রাজধানীর নয়াপল্টনে হজ এজেন্সিগুলোতে অভিযান চালায়।
এ সময় দুদক টিম কাজী টাওয়ারে অবস্থিত কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালে সরেজমিন অভিযানে দেখতে পায়, ওই হজ এজেন্সির কাছে প্রকৃত হাজির সংখ্যার সমর্থনে কোনো কাগজপত্র নেই।
এছাড়াও সৌদি আরবে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া, মুয়াল্লাম ফি ও অন্যান্য রশিদপত্র দেখাতে পারেনি এজেন্সিটি। দুদক টিম একই টাওয়ারে অবস্থিত কাজী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস-এর কাগজপত্র পরীক্ষায় দেখতে পায়, উল্লিখিত হজ এজেন্সি গত বছরের অডিটে ৪ লক্ষাধিক টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে।
এত বড় অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির ঘটনার পরও কিভাবে এ এজেন্সি অনুমোদন পেল, তা দেখে রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করে দুদক টিম। এ বিষয়ে টিমের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ জাতীয় অনিয়ম প্রতিরোধে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত হজযাত্রীসহ সবার কাছে দুর্নীতিবিরোধী লিফলেট ও দুদক হটলাইন (১০৬) এর স্টিকার বিতরণ করা হয়। এর আগে ২, ৪, ৯ এবং ১৫ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে অভিযান চালায় দুদক।
অভিযান প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের লক্ষ্য, হজকেন্দ্রিক দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া এবং ব্যাহত অভিযানের মাধ্যমে হজযাত্রীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ